ইরানের রাজধানী তেহরানে তালেবানের প্রতিনিধিদলের সাথে আফগান সরকারের প্রতিনিধিদল বৈঠক করেছে। বুধবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যস্থতায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত, তুরস্ক গত এপ্রিল মাসে ইস্তাম্বুলে এ রকম একটি শান্তি আলোচনার চেষ্টা চালিয়েছিল। এমনকি তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিন-তারিখও ঘোষণা করেছিলেন। এ নিয়ে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছিল তুরস্কে। কিন্তু তালেবান এতে রাজি না হওয়ায় তখন স্থগিত এবং পরে বাতিল করতে হয় সেই বৈঠক। বুধবার ইরানের এই বৈঠকে আফগান সরকার থেকে সরাসরি বড় কোনো ব্যক্তি না থাকলেও এই বৈঠক, ভবিষ্যৎ আফগানিস্তানে ইরান আরও বেশি শক্তিশালী হওয়ার ইঙ্গিত বহন করে। গত মাসের শেষে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি কারিগরি দল আফগান ইস্যুতে তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় একটি বৈঠক করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে। দেশটি থেকে মার্কিনিদের নেতৃত্বে ন্যাটো সৈন্যরা চলে গেলে কাবুল হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের দায়িত্ব নিতে চায় তুরস্ক। কিন্তু এতে আপত্তি রয়েছে তালেবানের। তালেবানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে— ‘তুরস্ক একটি গুরুত্বপূর্ণ মুসলিম রাষ্ট্র। আমরা তুরস্কের সাথে ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়তে চাই। তুরস্কের সাথে ভবিষ্যতে সম্পর্ক আরও উন্নত করতে চাই।’ তালেবানের একজন মুখপাত্র অবশ্য আমাকে জানান, বিদেশি সৈন্য থাকার বিষয়ে তাদের বক্তব্য স্পষ্ট। তবে তিনি তুরস্কের সাথে তালেবানের বিভিন্ন চ্যানেলে যোগাযোগ হচ্ছে বলেও স্বীকার করেন। তার মতে, এ বিষয়ে আগামী পাঁচ-সাত দিনের মধ্যে অনেক কিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে। ইরনা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন