বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

হাইতির রাজনৈতিক সঙ্কটে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি যুক্তরাষ্ট্রের

পুলিশের গুলিতে ৪ সন্দেহভাজন নিহত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ জুলাই, ২০২১, ১২:০৪ এএম

প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মইসি সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হওয়ার পর থেকে হাইতিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। এই অস্থিরতা কাটিয়ে উঠতে যেকোনো ধরনের সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া রাজনৈতিক সঙ্কট সমাধানে সংলাপের আহবান জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এদিকে, বুধবার প্রেসিডেন্টকে হত্যার ঘটনায় চার সন্দেহভাজন ব্যক্তি পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। আরো দুইজনকে আটক করা হয়েছে।

জানা গেছে, গত বুধবার বন্দুকধারীরা মইসির ব্যক্তিগত বাসায় হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করে। এই হামলায় তার স্ত্রী আহত হয়েছেন। মইসি নিহত হওয়ায় সরকারের দায়িত্ব নিয়েছেন অন্তর্র্বতী প্রধানমন্ত্রী ক্লদে জোসেফ। তিনি জনসাধারণের চলাচলের ওপর অবরোধ আরোপ করেছেন। এ ছাড়া জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, পরিস্থিতি শান্ত রাখা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। অভিযোগ উঠেছে, মইসির ওপর যারা হামলা চালিয়েছেন, তারা মার্কিন মাদক নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের এজেন্ট। কিন্তু এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস। মইসিকে হত্যার মধ্য দিয়ে হাইতিতে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তা সমাধানে সাহায্যের প্রতিশ্রæতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হামলার নিন্দা জানিয়েছেন ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেলও। তিনি এক টুইট পোস্টে লিখেছেন, ‘আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। হাইতির জনগণকে শান্ত থাকার আহবান জানাচ্ছি।’ এ ছাড়া সংলাপের মধ্য দিয়ে দেশটিতে একটি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার আহবান জানিয়েছেন তিনি। যথাসময়ে এই নির্বাচন করার আহবান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও।

এদিকে, দেশটির রাজধানী পোর্ট অব প্রিন্সে বুধবার পুলিশের সাথে সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছেন। তারা প্রেসিডেন্টকে হত্যার সাথে জড়িত ছিলেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। পুলিশ প্রধান লিওন চার্লস জানিয়েছেন, আততায়ীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পথে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। তখনই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। উল্লেখ্য, হাইতিতে অস্থিরতার মধ্যেই ২০১৭ সালের ৭ ফেব্রæয়ারি মইসি দেশটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দায়িত্ব নেয়ার পর তার সময় মোটেই ভালো কাটেনি। তাকে নানামুখী ঝঞ্ঝা, বিক্ষোভ, বিরোধিতার মধ্য দিয়ে চলতে হয়।

মইসির বিরুদ্ধে অব্যবস্থাপনা, অনিয়ম, অপশাসন, দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। অপরাধ দমন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে মইসি ব্যর্থ বলে বিরোধীরা অভিযোগ তোলে। তার বিরুদ্ধে পার্লামেন্ট নির্বাচন বিলম্বিত করার অভিযোগ আনা হয়। তিনি সংবিধানে পরিবর্তন এনে আরেক দফায় প্রেসিডেন্ট হতে চান বলেও সন্দেহ করা হচ্ছিল। এসব অভিযোগে হাইতিতে মইসির বিরুদ্ধে দফায় দফায় বিক্ষোভ হয়ে আসছিল। গত ফেব্রুয়ারিতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ব্যাপক সহিংস রূপ নেয়। বিক্ষোভকারীরা তার ক্ষমতার মেয়াদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে। তারা তার পদত্যাগ দাবি করে। এমন পরিস্থিতিতে প্রায় এক বছর ধরে ডিক্রি দিয়ে দেশ চালাচ্ছিলেন মইসি। সূত্র : রয়টার্স, এএফপি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন