শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

জার্মান প্রযুক্তির সাবমেরিনে তুরস্ক শক্তিশালী নৌশক্তি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ জুলাই, ২০২১, ১২:০৪ এএম

জার্মান প্রযুক্তির সাবমেরিনের কল্যাণে তুরস্ক শক্তিশালী নৌশক্তিতে পরিণত হওয়ায় তা গ্রিসের জন্য শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ বিষয়ে দ্য ইকনোমিস্ট পত্রিকার প্রবন্ধের শিরোনামে বলা হয়েছে, জার্মান প্রযুক্তির সাবমেরিনগুলো তুরস্ককে গ্রিসের চেয়েও বেশি সামরিক সুবিধা দেবে।

লন্ডনভিত্তিক সাপ্তাহিকটি একটি তথ্যসমৃদ্ধ প্রবন্ধ প্রকাশ করেছে যে কিভাবে তুরস্কের রইস ক্লাস সাবমেরিন প্রকল্প ইজিয়ান সাগরে গ্রিসের চেয়ে দেশটিকে বেশি শক্তিশালী নৌশক্তিতে পরিণত করেছে। তুরস্কের রইস ক্লাস সাবমেরিন প্রকল্পকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে দ্য ইকনোমিস্ট পত্রিকার ওই প্রবন্ধে। রইস ক্লাস সাবমেরিনগুলো জার্মানির টাইপ-২১৪ প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে তৈরি।

এ বিষয়ে লেখা প্রবন্ধটি শনিবার প্রকাশিত হয়েছে। ওই প্রবন্ধে বলা হয়েছে, এ রইস ক্লাস সাবমেরিনগুলো তুরস্কের নৌবাহিনীর জন্য বিপুল সাফল্য বয়ে এনেছে। একইসাথে এটা গ্রিসের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। তুর্কি নৌবাহিনীর এ সাফল্যকে গুরুত্ব দিয়ে ওই প্রবন্ধে জোহানেস পিটার বলেন, এ ডিজেল-ইলেক্ট্রিক শক্তিচালিত সাবমেরিনগুলোতে ‘এয়ার ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্রপালশন’ (এআইপি) প্রযুক্তিতে তৈরি।

এর মাধ্যমে সহজেই অক্সিজেন প্রাপ্তি নিশ্চিত করা যায় আর সাবমেরিনগুলো নিঃশব্দে চলতে পারে। এ সাবমেরিনগুলো পারমাণবিক শক্তি চালিত সাবমেরিনগুলোর তুলনায়ও বেশি নিঃশব্দে চলে। অপর দিকে পারমাণবিক শক্তি চালিত সাবমেরিনগুলোর ইঞ্জিন কখনো বন্ধ হয় না, তাই এগুলোতে শব্দ হতেই থাকে। ইনস্টিটিউট ফর সিকিউরিটি পলিসি অফ কিলে কর্মরত জোহানেস পিটার আরো বলেন, গ্রিক ও তুর্কি সঙ্ঘাতের কেন্দ্রস্থল বলে পরিচিত ইজিয়ান সাগরে এ সাবমেরিনগুলো সবচেয়ে কার্যকর ভ‚মিকা পালন করতে পারবে।

তুরস্ক ইতোমধ্যে তাদের গোলচুক শিপ ইয়ার্ডে টিসিজি পিরিরইস নামে একটি রইস ক্লাস সাবমেরিন তৈরি করে ফেলেছে। এ সাবমেরিনটির নাম দেয়া হয়েছে তুরস্কের উসমানীয় আমলের কিংবদন্তি নৌ-সেনাপতি পিরি রইসের নাম অনুসারে। এ সাবমেরিনটি ২০২২ সালে তুর্কি নৌবাহিনীতে যোগ দেবে। বাকি সাবমেরিনগুলো ২০২৭ সালে সরবরাহ করা হবে।

রইস ক্লাস সাবমেরিনগুলো জার্মানির সাথে সামরিক চুক্তির মাধ্যমে তৈরি করা হচ্ছে। একারণে শঙ্কিত গ্রিস কর্তৃপক্ষ জার্মানিকে আহবান জানাচ্ছে যেন তারা তুরস্ককে এ প্রযুক্তিগত সহায়তা না দেয়। অপরদিকে তুরস্ক গ্রিস কর্তৃপক্ষকে আহবান জানিয়েছে শান্তিপূর্ণ সমাধানে জন্য। তুর্কি কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা গ্রিসের সাথে পশ্চিম ভ‚মধ্যসাগর নিয়ে চলমান সঙ্ঘাতের সমাধান চায় আলোচনা ও আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে। ইয়েনি সাফাক।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
Mohiuddin Shaheen ৯ জুলাই, ২০২১, ১:৪০ এএম says : 0
কেহ যদি ভাল কিছু আবিস্কার করে,তাহলে অন্যের উদ্বিগ্ন হওয়ার কি আছে??? পারলে তারাও আবিষ্কার করুক, মুসলিমরা ভাল কিছু করলেই কাফেরের দল উদ্বিগ্ন হয়ে যায়,
Total Reply(0)
Ac Asad ৯ জুলাই, ২০২১, ১:৪০ এএম says : 0
এই চুলকানি শুরু হয়ে গেছে!! তারা পরমানু বোমা বানিয়ে ব্যাবহার করতে পারে, যেখানে ইচ্ছা মানুষ মারতে পারবে!! কোন মুসলিম দেশ নিজের অধিকারের জন্য কোন কাজ করলেই তাদের ঘুম হারাম হয়ে যায়!!
Total Reply(0)
Abdullah Chowdhury Royal ৯ জুলাই, ২০২১, ১:৪০ এএম says : 0
আল্লাহ যাকে সম্মান বা শক্তিশালী করতে চান তাকে দমানোর মতো ক্ষমতা এই পৃথিবীতে কাহারও নেই, এবং এভাবেই আল্লাহ পাক যুগে যুগে কাফের বেঈমান দের শায়েস্তা করেছেন তার প্রিয় বান্দাদের শক্তিশালী করে আর এভাবেই আল্লাহ হয়তো এই তুর্কী দের শক্তিশালী করে আবারও মুসলমানদের একটা বিপ্লব ঘটতে পারে যেখানে মুসলমানরা আবারও সম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে এবং আল্লাহর দেওয়া জীবন বিধান এই জমিনের বুকে প্রতিষ্ঠিত হবে আর এটা আল্লাহ ওয়াদা করেছেন তিনি তার মনোনীত দ্বীন ইসলামকে এই জমিনের বুকে প্রতিষ্ঠিত করবেন এতে কাফের বেঈমান দের যতই খারাপ লাগুক না কেন,
Total Reply(0)
Strange Stranger ৯ জুলাই, ২০২১, ১:৪১ এএম says : 0
ওরা অস্ত্র বানালে সমস্যা নাই, মুসলমানরা অস্ত্র বানালেই ওদের হৃদ কম্পন শুরু হয়ে যায়।
Total Reply(0)
সাইফুল ইসলাম সজিব সজিব ৯ জুলাই, ২০২১, ১:৪১ এএম says : 0
শুভকামনা তুরস্কের জন্য। কাফেরদের অন্তরে ভয় সৃষ্টি করে দিয়েছে আল্লাহ তায়ালার কাছে শুকরিয়া।
Total Reply(0)
MD Arfan Ali ৯ জুলাই, ২০২১, ১:৪১ এএম says : 0
মুসলিমদের গবেষনা ও প্রযুক্তির দিকে নজর দিতে হবে। সামনা সামনি যুদ্ধ করার ক্ষমতা কাফেরের নেই, তাই তারা দূর অস্র ব্যবহার করছে আর সেগুলো দিয়ে বাহাদূরি দেখাচ্ছে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন