মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

রাজধানীতে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন, থামানো যাচ্ছে না মানুষকে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ জুলাই, ২০২১, ৯:১১ এএম

সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের ষষ্ঠ দিন চলছে। এই বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারপরও দিন যত যাচ্ছে রাস্তায় লোকজনের সংখ্যা ততই বাড়ছে, বেড়েছে যানবাহনের সংখ্যা। মোটরসাইকেলে ও প্রাইভেটকারের ক্ষেত্রে কারণ দর্শাতে হলেও হেঁটে বা রিকশাযোগে যারা চলাচল করছেন, তাদের ক্ষেত্রে কারণ দর্শানোর বিষয়টি কার্যকর হচ্ছে না।

মঙ্গলবার (৬ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

পুরান ঢাকার নয়াবাজার, বাবুবাজার, তাঁতিবাজারসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঢাকার প্রবেশমুখ বাবুবাজার ব্রিজ দিয়ে গত পাঁচ দিনের তুলনায় মানুষের বাইরে যাতায়াত অনেকাংশে বেড়েছে। এদের মধ্যে যারা মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার নিয়ে চলাচল করছেন, শুধুমাত্র তাদেরই কারণ দেখিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে ছাড় পেতে হচ্ছে। এছাড়া যারা রিকশা, ভ্যানে কিংবা হেঁটে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাচ্ছেন, তাদের কাছে কারণ জানতে চাওয়া তো দূরের কথা, থামানোও হচ্ছে না। পাশাপাশি চেকপোস্টগুলোতে জিজ্ঞেসাবাদেও কিছুটা শিথিলতা দেখা গেছে।

আব্দুল হাই নামের এক কারখানা মালিক বলেন, আমি মুন্সিগঞ্জ থেকে আসছি। নবাবপুরে কারখানায় যাব। কারখানায় কর্মচারীরা কাজ করছেন, সেগুলো দেখাশোনা করতে হবে।

মুন্সিগঞ্জ থেকে কীভাবে এসেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেরাণীগঞ্জের কদমতলী পর্যন্ত এসেছি দুই ভাগে। তারপর বাবুবাজার ব্রিজ পার হয়ে নবাবপুরে যাব।

বিধিনিষেধের মধ্যে বাসা থেকে আর বের হয়েছেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে আবদুল হাই বলেন, আমি গতকালও (সোমবার) কারখানায় গিয়েছি। আজও যাচ্ছি। এভাবে চলাচল করতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। সরকারের উচিত কিছু যানবাহন চালু করা। কারণ মানুষ তো বের হচ্ছে। প্রথম দিকে দুই-একজন বের না হলেও এখন মোটামুটি সবাই বাসা থেকে বের হচ্ছে। যত কঠিন লকডাউন দিক, মানুষ বের হবেই। এ পরিস্থিতির কারণে আমাদের কষ্ট হচ্ছে, এছাড়া আর কিছুই না।

বাবুবাজার ব্রিজের সামনে চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ লোকজন একটু বেশি দেখা যাচ্ছে। তবে আমরা সবাইকেই জিজ্ঞেস করছি। অনেকেই উপযুক্ত কারণ দেখাচ্ছেন। যারা উপযুক্ত কারণ দেখাতে পারছেন না, তাদের আমরা আটক বা জরিমানা করছি।

তিনি বলেন, মানুষের উচিত সরকারের বিধিনিষেধগুলো পালন করা। তা না হলে করোনা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নেবে।

এদিকে রামপুরা টিভি ভবনের সামনে গিয়ে দেখা গেছে, যানবাহনের লম্মা লাইন রয়েছে। শুধু রামপুরাই নয়, রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, বাংলামটোর এলাকা ঘুরেও এমন চিত্র দেখা গেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন