শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিনোদন প্রতিদিন

রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ালেন অভিনেত্রী তনুশ্রী

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ জুলাই, ২০২১, ১১:০৩ এএম

রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ালেন টলিউড অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তী। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। হাওড়ার শ্যামপুরের প্রার্থীও হয়েছিলেন। তবে জিততে পারেননি। নির্বাচন শেষ হওয়ার পর বেশ কিছুদিন কেটে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার আচমকাই রাজনীতি ত্যাগের কথা জানালেন টলিপাড়ার এই অভিনেত্রী।

উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে বিজেপি শিবিরে যোগ দেন তনুশ্রী চক্রবর্তী। ‘নতুন জন্ম হল আমার’, বিজেপি শিবিরে যোগ দিয়েই বলেছিলেন অভিনেত্রী। তার কিছুদিন পরই তাকে শ্যামপুরের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বিপরীতে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী কালীপদ মণ্ডল। প্রচারে কোনও খামতি রাখেননি তনুশ্রী। কিন্তু রাজনীতির ময়দানে পোড় খাওয়া নেতা কালীপদ মণ্ডলের কাছে হেরে যান। তার জেরেই কি রাজনীতির সঙ্গ ত্যাগ করলেন টলিপাড়ার নায়িকা? প্রশ্নের উত্তর মেলেনি।

তবে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, যেকোনও রকম রাজনীতির রং থেকে তিনি বাইরে থাকতে চান। বিস্তর পড়াশোনা করেই সকলের রাজনীতির ময়দানে নামা উচিত বলে মনে করেন তনুশ্রী। তবে নিজের রাজনীতিতে যোগ দেওয়া বা ভোটে লড়ার সিদ্ধান্তে কোনও আফসোস নেই অভিনেত্রীর। প্রায় চার মাসের স্বল্প এই সময়কালেই তিনি অনেক কিছু শিখেছেন বলে জানান। আপাতত অভিনয়েই মনোনিবেশ করতে চান তনুশ্রী।

ফেসবুকে নিউ লুকের ছবি দিয়ে জানিয়েছেন, খুব শিগগিরিই নতুন কোনও ঘোষণা করতে পারেন। তার পাশাপাশি ‘সেলফি থেরাপি’তেও নিজেকে ভাল রাখছেন টলিপাড়ার নায়িকা। তা আবার পোস্ট করেছেন ইনস্টাগ্রামে।

এখানেই শেষ নয়, কাছের বান্ধবী নুসরাত জাহান এবং শ্রাবন্তীর সঙ্গে একটি সেলফিও পোস্ট করেছেন এদিন। ক্যাপশনে বেশ কিছু হৃদয়ের চিহ্ন এঁকে দিয়েছেন। ছবিটি যদিও সপ্তাহখানেকের পুরোনো এক পার্টির ছবি। নির্বাচনী লড়াইয়ে হারের পর থেকেই তৃণমূল সাংসদ নুসরাত জাহানের সঙ্গে শ্রাবন্তী-তনুশ্রীর সখ্যতা চোখে পড়বার মতো। অন্যদিকে বিজেপির অপর পরাজিত প্রার্থী যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে তো প্রণয় ডোরে আবদ্ধ নুসরাত।

শ্রাবন্তী-নুসরাতের সঙ্গে তনুশ্রীর এই ছবি নিমেষেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল। কেউ কেউ তিন টলি সুন্দরীর রূপের প্রশংসা করছেন, কেউ আবার কটূক্তি করতেও ছাড়ছেন না। অনেকে আবার লিখেছেন- ‘রতনে রতন চেনে’।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন