আরব আমিরাতে হোটেল-রেস্টুরেন্ট ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছেন বাংলাদেশিদের বড় একটি অংশ। অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা হওয়ায় দেশটিতে তারা গড়ে তুলেছেন ছোট-বড় ২ সহস্রাধিক হোটেল-রেস্টুরেন্ট। তাদের গড়ে তোলা হোটেল-রেস্টুরেন্টের তৈরি খাবার ব্যাপকভাবে সুনাম বাড়াচ্ছে দেশটিতে। এসব হোটেল-রেস্টুরেন্টে উন্নতমানের সুস্বাদু খাবারের পাশাপাশি রয়েছে এশিয়ান ও অ্যারাবিয়ান খাবারেরও সুব্যবস্থা। সাফল্যের অনুপম দৃষ্টান্তের এসব হোটেল-রেস্টুরেন্ট উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের অধীনে এখন কাজ করছেন ২০ সহস্রাধিক বাংলাদেশি। তবে বাংলাদেশি ছাড়া ভারত ও পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকরাও কাজ করছেন তাদের প্রতিষ্ঠানে।
হোটেল-রেস্টুরেন্ট মালিকরা বলেছেন, আমিরাতে করোনার শুরুর দিকে প্রায় তিন মাস করোনা বিস্তার রোধে ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনায় তখন সরকারের পক্ষ থেকে হোটেল-রেস্টুরেন্ট থেকে শুধু মাত্র খাবার ডেলিভারি দেয়ার অনুমতি থাকলেও হোটেল-রেস্টুরেন্টে কাস্টমারদের বসিয়ে খাওয়ানোর নিষেধাজ্ঞাসহ বেশ কিছু নির্দেশনায় এবং দেশীয় শ্রমিক সঙ্কটে তাদের হোটেল-রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় মন্দা পরিস্থিতি গিয়েছিল। পরবর্তীতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পাশাপাশি করোনা প্রতিরোধে আমিরাত সরকারের সর্বাধুনিক ও উন্নতমানের পর্যাপ্ত ব্যবস্থাপনায় করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই কাটিয়ে ওঠার পাশাপাশি ভিজিট ভিসায় আমিরাতে আসা বাংলাদেশিদের নিয়োগ ভিসা লাগানোর সুযোগ তৈরি হওয়ায় এখন বেশ ভালো অবস্থানে আছেন বলে জানান তারা।
আমিরাতের আজমানের নয়া সানাইয়ায় ঢাকা দরবার হোটেলের মালিক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হাসান চৌধুরী ইনকিলাবকে জানান, বাংলাদেশি হোটেল-রেস্টুরেন্টের খাবার শুধু দেশীয় লোকদের কাছেই যে পছন্দের তা কিন্তু নয়, বরং অ্যারাবিয়ান, ভারতীয়, পাকিস্তানী, নাইজেরিয়ান ও ইথিওপিয়ানসহ বিভিন্ন দেশের লোকদের কাছেও বেশ পছন্দ তাদের হোটেল-রেস্টুরেন্টে তৈরি বাংলাদেশি খাবার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন