হাইতির প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মইসি হত্যাকাণ্ডে ২৮ জনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। তাদের মধ্যে ২৬ জন কলম্বিয়ার এবং দুজন হাইতি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার হাইতির পুলিশপ্রধান লিওন চার্লস এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
পুলিশের এ বক্তব্যের পরে হাইতির প্রেসিডেন্ট হত্যাকাণ্ডে যুক্তরাষ্ট্র ও কলম্বিয়া জড়িত বলে জল্পনা শুরু হয়েছে। পুলিশপ্রধান বলেন, ‘আমরা ১৫ কলম্বিয়ান এবং হাইতি বংশোদ্ভূত ২ মার্কিনকে গ্রেপ্তার করেছি। ৩ কলম্বিয়ান এর আগে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। এছাড়া আরও ৮ জন পলাতক।’ এর আগে বুধবার প্রেসিডেন্ট মইসি হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহভাজন চারজন গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে জানায় পুলিশ। মইসির পলাতক হত্যাকারীদের ধরার অঙ্গীকার করেছেন পুলিশের এ কর্মকর্তা। তিনি জানান, প্রেসিডেন্টের হত্যাকারীদের ব্যবহার করা অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি আট খুনিকে ধরতে তদন্ত ও অভিযান জোরদার করা হয়েছে।
বুধবার বন্দুকধারীরা মইসির বাসায় হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করে। এ হামলায় তার স্ত্রী মার্টিন মইসি আহত হন। পরে তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মিয়ামিতে নেওয়া হয়। তিনি শঙ্কামুক্ত আছেন বলে জানা গেছে। মইসি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ পশ্চিমা বিশ্বের নেতারা। হামলার নিন্দা জানিয়েছেন ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট চার্লস মিশেলও। হাইতির জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মইসি ২০১৭ সাল থেকে হাইতির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বপালন করছিলেন। তার পদত্যাগ দাবি করে একাধিকবার বিক্ষোভ হয়েছিল। মইসি নিহত হওয়ায় সরকারের দায়িত্ব নিয়েছেন অন্তর্র্বতী প্রধানমন্ত্রী ক্লদে জোসেফ। তিনি জনসাধারণের চলাচলের ওপর অবরোধ আরোপ করেছেন। এ ছাড়া জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, পরিস্থিতি শান্ত রাখা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন। সূত্র : এপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন