মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলা শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরিতে যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপার বন্ধের নির্দেশনা মানা হচ্ছে না। শনিবার (১০ জুলাই) সকাল থেকে ঘাটের উভয়মুখী যাত্রীর চাপ দেখা গেছে। সেই সাথে ফেরিতে ব্যক্তিগত গাড়ি ও যাত্রীদের গাদাগাদি করে নদী পারাপার হতে দেখা গেছে। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও ছোট ছোট যানে চড়ে বা পায়ে হেঁটে যাত্রীরা ঘাটে পৌঁছে যাচ্ছে পদ্মা পাড়ি দিতে দক্ষিণবঙ্গের উদ্দেশ্যে। শনিবার সকাল থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্ট এড়িয়ে প্রাইভেটকার,মাইক্রোবাস,মটরসাইকেলসহ ব্যক্তিগত গাড়ি ঘাটে আসতে দেখা গেছে। আর পন্যবাহী ট্রাক, কভার্ডভ্যান ও পিকাআপের সংখ্যাও বেড়েছে। এদিকে সারা দেশে কঠোর লকডাউন আরোপের পরও মানুষ নানা কৌশলে ফেরি ব্যবহার করে নদী পারাপার হচ্ছিল। এমন পরিস্থিতিতে ফেরিতে যাত্রী পরিবহণ বন্ধের মতো কঠোর অবস্থানে যায় নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়। গত শুক্রবার বিআইডব্লিউটিসির এর বিজ্ঞপ্তিতে জানান,এখন থেকে ফেরিতে যাত্রী ও যাত্রীবাহী সব ধরনের গাড়ি পারাপার বন্ধ থাকবে। তবে যথারীতি কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে পণ্যবাহী গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি পরিষেবায় নিয়োজিত গাড়ি পারাপার করা হবে। বিজ্ঞপ্তির পরেও শনিবার সকাল থেকে শিমুলিয়া নৌরুটে ফেরিতে যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপারে দৃশ্য দেখা গেছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডাব্লিউটিসির) শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) জামিল আহমেদ দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে সকাল থেকে ১১টি ফেরি চলাচল করছে। ঘাটে ব্যক্তিগত গাড়ি ও যাত্রী পারাপারে নিষেধ রয়েছে, পুলিশকে বলা হয়েছে যাতে ব্যক্তিগত গাড়ি ফেরিতে না উঠে।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ মো. জাকির হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে জানান,ঘাটে সকালে লাশবাহী এম্বুলেন্স পাশাপাশি পন্যবাহী পারাপার হয়েছে,এখন ঘাটে এম্বুলেন্স ও যাত্রী নেই, তবে দেড় শতাধিক পন্যবাহী গাড়ি পারাপারে অপেক্ষায় আছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন