বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক করতে পুলিশের জরিমানা আরোপের ক্ষমতা প্রদান জরুরী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ জুলাই, ২০২১, ৫:৫২ পিএম

যত আইনই করা হউক না কেন ব্যক্তি সচেতনতা বৃদ্ধি না পেলে আমাদের কোন কিছুতেই জয় করা সম্ভব হবে না। তারা তাদের বক্তব্যে ব্যক্তি সচেতনতার পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য রক্ষায় পাবলিক পরিবহনে মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক করতে পুলিশের জরিমানা আরোপের ক্ষমতা প্রদান জরুরী বলে মনে করেন বক্তারা। শনিবার (১০ জুলাই) করোনায় জনস্বাস্থ্য রক্ষায় আইনের প্রয়োগ: পাবলিক পরিবহনে মাস্ক ব্যবহার ও ধূমপানশীর্ষক ওয়েবিনারের আয়োজন করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ডেভলপমেন্ট অ্যাক্টিভিটিস অব সোসাইটি-ডাস্ সহ তিনটি সহযোগী সংগঠন সিয়াম, বাটা ও দি ইউনিয়ন এর আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ডাস্ এর প্রকল্প উপদেস্টা আমিনুল ইসলাম বকুল এর সঞ্চালনায় এবং ডাস্ এর নির্বাহী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ এর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল এর সমন্বয়কারী ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হোসেন আলী খোন্দকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ’র এনফোর্সমেন্ট বিভাগে উপ-পরিচালক মো. হেমায়েত উদ্দিন, রেলওয়ে মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ এর ডেপুটি সেক্রেটারি মীর আলমগীর হোসেন, শিল্প মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ এর ডেপুটি সেক্রেটারি মো. ওবাইদুর রহমান। সভার বিষয়বস্তুর উপর সূচনা বক্তব্য রাখেন দ্যা ইউনিয়নের কারিগরি উপদেষ্টা এ্যাড. সৈয়দ মাহবুবুল আলম তাহিন এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সংযোগী সংগঠক সিয়ামের নির্বাহী পরিচালক এ্যাড. মাসুম বিল্লাহ। সভায় ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন ডাস্রে প্রকল্প পরিচালক দোয়া বখশ্ শেখ। সভায় বক্তারা জনসচেতনতা উপর গুরুত্বারোপ করে বক্তব্য প্রদান করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে হোসেন আলী খোন্দকার বলেন, আইনের প্রয়োগ, মাস্ক ব্যবহার, ধূমপান এবং পাবলিক সচেতনতা এই সবগুলি বিষয়ই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেকটা বিষয়ই স্বাস্থ্যের সাথে সম্পর্কিত। আইন মানার প্রবনতা আমাদের দেশে ঐভাবে গড়ে উঠেনি। জনগণকে আইনের মাধ্যমে সব কিছু করা সম্ভব না। রাস্তা পারাপার সহ আরও অনেক কিছুতে আমরা প্রতিদিনই রাষ্ট্রের আইন ভঙ্গ করি। নাগরিকদের সভ্যতা নির্ভর করে তার শৃঙ্খলার উপর। আবার আইন না থাকলে কোন কাজ করা যাবেনা। সুতরাং প্রত্যেকেরই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিৎ। তাহলে আমরা একটা ভালো অবস্থানে যেতে পারব এবং উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারবো। আমাদের সচেতনতার জায়গাটা আসলে অনেক নড়বড়ে। যারা ধূমপায়ী তাদের সাথে আমাদের কৌশলে কাজ করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মীর আলমগীর হোসেন বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গণপরিবহন হলো রেলওয়ে। সমস্ত ধরনের পরিবহন বন্ধ থাকলেও আমরা কিন্তু বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়ে আসছি। ধূমপানকে নিরুৎসায়িত করতে বাংলাদেশের ১৫০টি রেলওয়ে ষ্টেশনকে সম্পূর্ণ ধূমপানমুক্ত ঘোষনা করা হয়েছে। রেল ষ্টেশনে চুপি চুপি সিগারেট বিক্রি হয় এ ধরণের কোনো অভিযোগ আমরা জানতে পারলে সাথে সাথে তার বিরুদ্ধে এ্যাকশানে যাই। করোনার জন্য সব ষ্টেশনে মাস্কের ব্যবহার এবং হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। তিনি করোনা প্রতিরোধে ১৮ বছরের উপরে সকল বয়সীদের ভ্যাকসিন গ্রহণের পরামর্শ দেন।

আলোচনা সভায় আরো অংশগ্রহণ করেন সেভ দি চিলড্রেন’র এখলাস উদ্দিন, সেতু’র এম এ কাদের, সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের ড. নিজাম উদ্দিন আহমেদ, খুলনা জেলার ম্যাজিট্রেট দেবাশীষ বসাক, এসিডিও’র সুকান্ত দাস, ধূসর’র এস এম জি নেওয়াজ ও এ্যাড, নাজিয়া আহমেদ বর্না, ডাব্লিউবিবিট্রাস্ট’র সৈয়দা অনন্যা রহমান, আবু রায়হান, বিইআর এর হামিদুল ইসলাম হিল্লোল, এইড ফাউন্ডেশনের আবু নাসের অনিক, প্রমুখ।

সভায় আয়োজক সংগঠকদের পক্ষ থেকে কয়েকটি সুপারিশ তুলে ধরা হয়। তন্মধ্যে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা; আইনের কার্যকর প্রয়োগ বৃদ্ধি করা; মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা এবং অভিযোগ গ্রহণের জন্য আধুনিক অভিযোগ বাক্স স্থাপন করা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন