নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জুস ফ্যাক্টরিতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৫২ জনের প্রাণহানির ঘটনার যথাযথ তদন্ত চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস এক টুইট বার্তায় আশা প্রকাশ করেন, মারাত্মক ওই অগ্নিকান্ডের ঘটনার এমন তদন্ত হবে, যাতে এর রহস্য উদঘাটনের পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে জবাবদিহিতার আওতায় আনা যায়। ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে এটি জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
অগ্নিকান্ডে হতাহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র লিখেন- বাংলাদেশের কারাখানায় অগ্নিকান্ডে একসঙ্গে অর্ধশতাধিক শ্রমিকের মৃত্যুর খবরে আমরা খুবই কষ্ট পেয়েছি। ভিকটিমদের প্রতি আমাদের গভীর সমবেদনা রইলো।
এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যুরো অব ডেমোক্রেসি, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড লেবারের পৃথক টুইট বার্তায় বলা হয়- ফটক তালাবন্ধ থাকায় অনেক শ্রমিক দরজার ভেতরে আটকা পড়েছিলেন, যার কারণে সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডটি এতোটা ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, বাংলাদেশ তথা বিশ্বব্যাপী সব নিয়োগকর্তার গুরুদায়িত্ব হচ্ছে তাদের কর্মীদের নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা।
ওদিকে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের তরফেও অগ্নিকান্ডে হতাহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়েছে। নিজ অ্যাকাউন্ট থেকে প্রচারিত টুইট বার্তায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার প্রিয়জন হারানো পরিবারগুলোর প্রতি দূতাবাসের আন্তরিক সমবেদনা রয়েছে জানিয়ে আহতদের সুচিকিৎসা এবং দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় অগ্নিকান্ডের দায়ে প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হাসেমসহ আট জনকে এরই মধ্যে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি ঘটনাটিকে ‘হত্যা’র সঙ্গে তুলনা করে বলেছেন, এর জন্য মামলা হয়েছে, তদন্ত চলছে। তদন্তে দায়ী প্রমাণিত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার আশ্বাসও দিয়েছেন মন্ত্রী। সূত্র : ভোয়া
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন