মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নিয়ে সীমাহীন দুর্নীতি-লুটপাট হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ জুলাই, ২০২১, ১২:০১ এএম

ভূমিহীন গরীব মানুষের জন্য নির্মিত প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নিয়ে সীমাহীন দুর্নীতি, লুটপাট, স্বেচ্ছাচারিতা ও দলীয়করণ হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও দপ্তরের দায়িত্বে থাকা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে মেগা প্রজেক্ট থেকে শুরু করে গ্রাম-গঞ্জের ছোট প্রজেক্ট-সব জায়গায় দুর্নীতি আর লুটপাটের মহৌৎসব চলছে। এ যেন লুটপাটের স্বর্গরাজ্য। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর হস্তান্তরের আগেই বা হস্তান্তরের পর দু’তিন মাস যেতে না যেতেই যেভাবে ধসে পড়তে দেখা গেল তাতেই প্রমাণিত হয় দেশে উন্নয়নের নামে হরিলুট চলছে। এছাড়াও গরীব মানুষের জন্য রাষ্ট্রের সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের বরাদ্দ, যেমন-কাবিখা, কাবিটা, কর্মসৃজন প্রকল্প, বিধবা-দুস্থ-বয়স্ক-প্রতিবন্ধী ভাতা নিয়েও সরকারি দলের লোকেরা লুটপাট ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে। যারা গরীব মানুষের হক নিয়ে দুর্নীতি করে তাদের দ্বারা আর যাই হোক জনকল্যাণ হতে পারে না। সরকারের আপাদমস্তক এখন দুর্নীতিগ্রস্ত। গতকাল শনিবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

এমরান সালেহ প্রিন্স অভিযোগ করে বলেন, ঘর নির্মাণের শুরু থেকেই অনিয়ম ও দুর্নীতিতে পরিপূর্ণ ছিল। গরীব মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বরাদ্দ তালিকায় নাম ওঠানো হয়েছে। জায়গা-জমি-বাড়ী-ঘরের মালিক এমনকি প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের নামও অর্থের বিনিময়ে বরাদ্দের তালিকায় তোলা হয়েছে। অনেক গরীব মানুষ মাথা গোজার একটু ঠাঁই পাবার আশায় পালিত গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগী, আসবাবপত্রসহ শেষ সম্বল বিক্রি করে সেই অর্থ ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের হাতে তুলে দিয়েছে। এমনকি আওয়ামী সমর্থক ইউপি চেয়ারম্যান-মেম্বার, আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের উপজেলা-ইউনিয়ন কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের কোটা নির্ধারণ রেখে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সরকারি বরাদ্দের পুরো টাকা কাজে ব্যয় না করে আত্মসাতের মাধ্যমে প্রয়োজন মতো রড, সিমেন্ট না দিয়ে বালি-মাটি এবং পুরনো ইট দিয়ে ঘর নির্মাণ করার ফলে হস্তান্তরের আগেই সেগুলো ধ্বসে পড়ছে। স্থানীয় প্রশাসন, ক্ষমতাসীন দলের অনুগত ও বশংবদ এবং বরাদ্দ কমিটি, ঠিকাদার, সাপ্লাইয়ার সকলেই স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী। তাই ভূমিহীন ও গরীবের ঘর নিয়ে দুর্নীতি, লুটপাট, জালিয়াতি ও প্রতারণা তারাই করেছে। তিনি বিএনপি পক্ষ থেকে জড়িতদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে বিচার দাবী করছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত গরীব ও ভূমিহীনদের ঘর পুনঃনির্মাণ করে পুনর্বাসনের দাবী জানান।

এদিকে নারায়ণগঞ্জের রুপগঞ্জে সেজান জুস ফ্যাক্টরিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার বিষয়ে প্রিন্স বলেন, ফ্যাক্টরির মালিক-কর্তৃপক্ষের রহস্যজনক ভূমিকায় বিভিন্ন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। মালিক মো. আবুল হাসেম আওয়ামী লীগ নেতা বলেই কি প্রশাসন এখন পর্যন্ত মালিক-কর্তৃপক্ষের গাফিলতি, অবহেলা ও উদাসীনতাকে আমলে নিচ্ছে না? কিংবা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কোন পদক্ষেপ এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান হচ্ছে না? তিনি অবিলম্বে নিহত ও আহতদের পরিবারকে আজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবী জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন