বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

শত্রুর বিরুদ্ধে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি চীন ও উত্তর কোরিয়ার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ জুলাই, ২০২১, ১২:০১ এএম

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। তারা শত্রæর বিরুদ্ধে পরস্পরকে সহযোগিতা করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। রোববার চীন ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যকার সম্পর্ক চুক্তির ৬০ বছর পূর্তি উপলক্ষে উভয় নেতা এ অঙ্গীকার করেন। শি জিনপিং বলেন, ১৯৬১ সালে চীন ও উত্তর কোরিয়ার প্রবীণ নেতারা সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরের সিদ্ধান্ত নেন, যা দু’দেশের জনগণের রক্ত দিয়ে স্থাপিত সংগ্রামী মৈত্রী জোরদার এবং দ্বিপাক্ষিক দীর্ঘমেয়াদী বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা বেগবানের আইনী ভিত্তি স্থাপন করেছে। তিনি বলেন, গত ৬০ বছরে দু’দেশ এ চুক্তির চেতনায় পরস্পরকে সমর্থন ও সহযোগিতা করে আসছে। নিজ নিজ দেশের সমাজতন্ত্র উন্নয়নের পাশাপাশি আঞ্চলিক এমনকি বৈশ্বিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করছে চীন ও উত্তর কোরিয়া। জিনপিং বলেন, সা¤প্রতিক বছরগুলোতে তিনি বেশ কয়েকবার শীর্ষ নেতা কিম জং উনের সঙ্গে দুই পার্টি ও দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বৈঠক করেছেন। এসব বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ মতৈক্য অর্জিত হয়েছে। তিনি উত্তর কোরীয়ার ক্ষমতাসীন ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক কিম জং উনের সঙ্গে দু’দেশ ও দু’দেশের জনগণের কল্যাণে দ্বিপক্ষিক সম্পর্ক এগিয়ে নেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কিম জং উন বলেন, চীন-উত্তর কোরিয়া বন্ধুত্বপূর্ণ পারস্পরিক সহযোগিতা ও সহায়তাবিষয়ক চুক্তিতে দু’দেশের সুসংহত ও দৃঢ় মৈত্রী প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি বলেন, গত ৬০ বছরে উত্তর কোরিয়া ও চীন পরস্পরকে সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়ে আসছে। দেশটি সমাজতন্ত্রের পথে চীনের সঙ্গে হাতে হাত রেখে সামনে এগিয়ে যেতে চায়। সিপিসির প্রতিষ্ঠার ১০০তম বার্ষিকীতে অভিনন্দন জানিয়েছেন কিম জং উন। উল্লেখ্য উত্তর কোরিয়ার দীর্ঘ দিনের বন্ধু চীন। এছাড়া বেইজিং র্অথনৈতিকভাবে পিয়ংইয়ংকে নিবিড় সহযোগিতা দিয়ে আসছে। এ দু’দেশের সম্পর্ক কোরীয় যুদ্ধের রক্তপাতের সঙ্গে সম্পর্কিত। দুই দেশ ১৯৬১ সালের ১১ জুলাই সশস্ত্র হামলার ঘটনার প্রেক্ষিতে বন্ধুত্বের চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। তৎকালীন চীনা নেতা মাও সেতুং এই সম্পর্ককে অত্যন্ত নিবিড় বলে উল্লেখ করেন। তবে উত্তর কোরিয়ার পরমানু কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সা¤প্রতিক বছরগুলোতে চীনের সাথে পিয়ংইয়ং এর সম্পর্কে উঠানামা শুরু হয়। কিন্তু উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনা স্থবির হওয়ার কারণে পিয়ংইয়ং ও বেইজিং সম্পর্ক জোরদারে আগ্রহী হয়। সূত্র : ডয়চে ভেলে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন