শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

তুর্কি সেনারা আফগানিস্তান ছাড়ছে না : এরদোগান

ইসরাইলি নৃশংসতার বিরুদ্ধে তুরস্ক চুপ করে থাকবে না

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ জুলাই, ২০২১, ১২:০১ এএম

বিদেশি সেনারা চলে যাওয়ার পরেও তুরস্কের সেনারা আফগানিস্তানে থাকছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একটি সমঝোতা হয়েছে বলেও জানান তিনি। তুরস্কের সেনারা এরপর কাবুল বিমানবন্দরকে তালেবানের হামলা থেকে রক্ষায় নিয়োজিত থাকবে। আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যেই সকল মার্কিন সেনা দেশে ফিরে যাবে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর আগেই কাবুল বিমানবন্দরের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছে তুরস্ক। যদিও তালেবান তুরস্ককে সাবধান করে দিয়েছে। তবে প্রথম থেকেই আফগানিস্তানে ন্যাটোর হয়ে সেনা মোতায়েনের আগ্রহ দেখিয়ে আসছিল তুরস্ক। এরমধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সম্পর্কোন্নয়নের চেষ্টা করছেন এরদোগান। অপর এক খবরে বলা হয়, ইসরাইল যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের নীতি পরিবর্তন না করবে ততক্ষণ পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে না মন্তব্য করে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান বলেছেন, ইসরাইলি নিপীড়নের বিরুদ্ধে তুরস্ক কখনও চুপ ছিল না এবং ভবিষ্যতেও তারা চুপ করে বসে থাকবে না। স্থানীয় সময় শনিবার ইস্তাম্বুলে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সাথে রজব তাইয়েপ এরদোগানের এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আঞ্চলিক উন্নয়ন এবং ফিলিস্তিন-তুরস্ক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করা হয় বলে জানিয়েছে তুরস্কের যোগাযোগ অধিদপ্তর। যতক্ষণ পর্যন্ত ইসরাইলি দখলদারিত্ব অব্যাহত থাকবে, ততক্ষণ এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা সম্ভব হবে না মন্তব্য করেন এরদোগান। বলেন, ইসরাইলি নৃশংসতার বিপরীতে তুরস্ক কখনোই চুপ করে থাকবে না। এ সময় তিনি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করার ওপর গুরুত্ব দেন। ফিলিস্তিনের প্রতিনিধি দলের সাথে তুরস্কের সরকারি কর্মকর্তাদের ঘণ্টাব্যাপী একটি বৈঠকের পর সোয়া ঘণ্টাব্যাপী এরদোগান ও মাহমুদ আব্বাসের রুদ্ধদ্বার বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের গ্রীষ্মকালে ফিলিস্তিনে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ইসরাইলের দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে ভোটাধিকার প্রয়োগ নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত এপ্রিলে ওই নির্বাচন স্থগিত করা হয়। এ ছাড়া স¤প্রতি ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় ২১২ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়। এ ছাড়া গত ২৫ জুন ফিলিস্তিনি স্বশাসন কর্তৃপক্ষের কঠোর সমালোচক হিসেবে পরিচিত মানবাধিকার কর্মী নিজার বানাত আটকাবস্থায় মারা যান। এসব ঘটনায় প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সরকার এবং তার দল ফাতাহ ফিলিস্তিনিদের বিরাগভাজন হয়। এসব ঘটনা নিয়ে অধিকৃত পশ্চিম তীরে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের পদত্যাগ দাবি করেন। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, সা¤প্রতিক এসব ঘটনায় মাহমুদ আব্বাসের জনপ্রিয়তা ব্যাপক মাত্রায় ধস নেমেছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ব নেতাদের সমর্থন আদায়ের মাধ্যমে প্রতিক‚ল পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন মাহমুদ আব্বাস। আনাদোলু।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Dadhack ১২ জুলাই, ২০২১, ৬:১৮ পিএম says : 0
In Islam Action louder than word. We muslim always talk but never take actions but Kafir they don't talk they straight way take action.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন