বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

সুচিকিৎসার সুযোগ না দেয়া মানবাধিকার লঙ্ঘন

খালেদা জিয়াকে নিয়ে স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ জুলাই, ২০২১, ১২:০০ এএম

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে সাজা দিয়ে আটকে রেখে বিদেশে সুচিকিৎসার সুযোগ না দেওয়া গুরুতর মানবাধিকারের লংঘন বলে মনে করে বিএনপির স্থায়ী কমিটি। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে গত শনিবার স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এই মন্তব্য করা হয় বলে গতকাল রোববার জানান মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মির্জা ফখরুল জানান, সম্প্রতি যুক্তরাজ্য তাদের পার্লামেন্টে বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের এবং চলমান নিয়ন্ত্রিত রাজনৈতিক অবস্থা ও চরম অমানবিক আচরণসহ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বেআইনিভাবে আটক ও তার প্রতি অমানবিক আচরণের বিষয় প্রকাশ করেছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এবং জাতীয় মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশের কর্তৃত্ববাদী সরকারের জনগণের মৌলিক অধিকার হরণ, সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন, মিথ্যা মামলা, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুমের ঘটনা ক্রমশই বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মতামত প্রকাশ করেছে।

স্থায়ী কমিটির সভা মনে করে, যুক্তরাজ্যের মানবাধিকার বিষয়ক প্রতিবেদন এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে সাজা দিয়ে তাকে আটক রাখা হয়েছে। এমনকি সুচিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। এটা গুরুতর মানবাধিকারের লংঘন। অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজনৈতিক কারণে আটক ব্যক্তিদের মুক্তি প্রদানের আহ্বান জানানো হয়।

তিনি জানান, দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে একটি সেমিনার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সভা। এজন্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সভায় করোনার মধ্যে চলমান স্থানীয় সরকার নির্বাচন অব্যাহত রাখার পক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) মন্তব্যে গভীর ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানানো হয়। সভা মনে করে, শুধুমাত্র সরকারি দলের বশংবদ হিসেবে কাজ করায় এই নির্বাচন কমিশন একটি নির্বাচনও অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারেনি। ২০১৮’র একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, উপ-নির্বাচন এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচন সবগুলো প্রহসনে পরিণত হয়েছে। জনগণের অংশগ্রহণ ব্যতিরেকেই নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের সংবিধান লংঘন করে শুধুমাত্র সরকারি দলকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য জনগণের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। বর্তমানে দেশের গণতন্ত্রহীনতা, জনগণের সার্বভৌমত্ব হরণ এবং ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া, একদলীয় ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগের নীলনকশা বাস্তবায়নের প্রধান অংশীদার হয়েছে। সংবিধান ও জনগণের প্রতি কোনও দায়-দায়িত্ব না থাকার কারণে এই ধরণের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য তাদের পক্ষে করা সম্ভব বলে সভা মনে করে। তিনি বলেন, সভায় নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে জনগণের স্বাস্থ্যের সুরক্ষার জন্য নির্বাচন স্থগিত রাখার আহ্বান জানানো হয়। অন্যথায় এর দায়-দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনকে গ্রহণ করতে হবে।

সভায় মহাসচিব ছাড়াও অংশ নেন- দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান এবং ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।#

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Dadhack ১২ জুলাই, ২০২১, ১২:৫৭ পিএম says : 0
স্বাধীনতার পর থেকেই আল্লাহ দ্রোহী শাসকগণ দেশ শাসন করেছেন আর এর কারণেই বাংলাদেশ আজ ধ্বংসের মুখে পতিত হয়েছে খুন-গুম হত্যা চাঁদাবাজি গুন্ডামি ধর্ষণ যিনা-ব্যভিচার আমাদের পোস্টের অর্জিত ট্যাক্সের টাকা কোটি টাকা বিদেশে পাচার সবই হচ্ছে কারণ একটাই কোন সরকারি আল্লাহকে মানে না
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন