শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সরকার পুলিশ দিয়ে কত সচেতন করবে

সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ জুলাই, ২০২১, ১২:০১ এএম

করোনার সংক্রমণ ইস্যুতে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, করোনা শুধু আমাদের দেশে নয়, সারা পৃথিবীকে নাড়া দিয়েছে। সেজন্য আমাদেরও সচেতন হতে হবে। সরকার পুলিশ দিয়ে কত সচেতন করবে, যদি নিজেরা সচেতন না হই।

গতকাল সোমবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরো বলেন, আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে সব সময় আহবান করে আসছি, যাতে জনগণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে। যতক্ষণ পারা যায় মাস্ক পরে থাকতে হবে।

ঈদের সময় গরু ব্যবসায়ী, দোকান মালিকসহ জীবন ও জীবিকার তাগিদে যেগুলো প্রয়োজন, সেগুলো বিবেচনা করেই সরকার ‘লকডাউনের’ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান মন্ত্রী।
ঈদে গরু বেচা-কেনার জন্য ‘লকডাউন’ শিথিল হচ্ছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এখানে অনেকগুলো কারণ আছে। যেমন খামারিরা যদি পশু বিক্রি করতে না পারে, তাহলে আরো এক বছর পরিচর্যা করতে হবে। তারপর দোকান মালিক যারা আছেন, তারা কিন্তু ঈদের জন্যই সারা বছর বসে থাকে। দুই ঈদের বেচাকেনা দিয়েই তারা চলে। এসব কিছু বিবেচনা করেই সরকার জীবিকা ও জীবনের তাগিদে যেগুলো প্রয়োজন, সেগুলো মাথায় রেখেই যা কিছু করার নির্দেশনা দেবে, যা আপনারা শুনতে পাবেন। আমি এখন আর এ বিষয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না। যথাসময়ে এ বিষয়ে যার মাধ্যমে পাওয়ার, পাবেন। বিধিনিষেধ শিথিলের বিষয়ে পুলিশের প্রতি কী নির্দেশনা থাকবে- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় শুধু পুলিশ নয়, প্রশাসনের সবাই মাঠে কাজ করছে। মূল বিষয়টা হলো আমাদের যে সিদ্ধান্ত, তা জনগণকে জানিয়ে দেয়া ও সচেতন করা এবং জনগণ যাতে সেটা মেনে চলে সে ব্যবস্থা করা। আমাদের পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবিসহ সবাই একসঙ্গে কাজ করছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, বিজিএমইএর কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটা সভা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন, তারা পণ্য যেখানে রফতানি করছেন বা যারা বায়ারস তারা পণ্য সঠিকভাবে পাচ্ছেন না। তারা এখান থেকে যেভাবে পণ্য দিচ্ছেন সেটা সংখ্যায় কমে যায় বা অন্য রকম কিছু হচ্ছে। এতে আমাদের দেশের সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে এবং ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। আমরা গত দুই থেকে তিন বছর আগেও এ ধরনের পরিস্থিতি দেখেছি। হাইওয়েতে রাহাজানি করে হাইজ্যাক করে বা এ ধরনের ঘটনা যারা ঘটায় তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিয়েছিল পুলিশ। আবার এ বিষয়ে কড়াকড়ি ব্যবস্থা না নিলে ব্যবসায়ীদের অসুবিধা হচ্ছে। মূলত এ জন্যই এ সভাটি ডাকা হয়েছিল।

তিনি বলেন, সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে প্রত্যেকটি পণ্যবাহী গাড়িতে জিপিএস ট্র্যাকিং সিস্টেম চালু থাকতে হবে। যাতে গাড়ির গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে মালিক ও পুলিশ পক্ষ। এছাড়া গাড়িতে ট্র্যাকিং সিস্টেম বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর ফলে হাইওয়ে পুলিশ কোনো কাভার্ডভ্যানে ট্র্যাকিং সিস্টেম না থাকলে হাইওয়েতে উঠতে দেবে না। একই সঙ্গে যেন পণ্যের স্টিকার ও রফতানি পণ্যের যথাযথ কাগজপত্র কাভার্ডভ্যানে থাকে। যাতে পুলিশ বুঝতে পারে এটা রফতানি পণ্য পরিবহনের গাড়ি।

তিনি আরো বলেন, আমরা পরিবহন পুলিশ, গার্মেন্টস মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে একটি এসওপি তৈরি করতে বলেছি। যাতে ব্যবসায়ীরা দ্রুত নির্ভরযোগ্য উপায়ে পণ্য রফতানি করতে পারবেন। হাইওয়ে পুলিশ সম্পর্কে আপনারা জানেন ইতোমধ্যে আমরা একটা বরাদ্দ দিয়েছি। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত মোট ২৫২ কিলোমিটার রাস্তা সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসতে কাজ শুরু হবে। আশা করছি দুই মাসের মধ্যে ব্যবস্থা করতে পারব। এটা হলে হাইওয়ের অধিকাংশ লুটপাট বন্ধ হয়ে যাবে। এছাড়া রফতানি পণ্য পরিবহনে পুলিশের একজন ফোকালপয়ন্টে কর্মকর্তা থাকবেন। তিনি যে কোনো সময় সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত থাকবেন।

ট্র্যাকিং সিস্টেমযুক্ত কাভার্ডভ্যান ব্যতীত অন্য কোনো কাভার্ডভ্যান হাইওয়েতে চলতে পারবে না, সেটা কবে থেকে কার্যকর হবে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান বলেন, সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা বলে দিয়েছি, নিশ্চয়ই আমরা একটা সময় দেবো ৭ দিন বা ১৫ দিন। এই ট্র্যাকিং সিস্টেম লাগাতেই হবে। সে বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশ একটা সিদ্ধান্ত দেবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন