বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ব্যস্ততা নেই কামারশালায়

দৌলতখান (ভোলা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৩ জুলাই, ২০২১, ৬:৫১ পিএম

আর মাত্র কয়েক দিন বাকি ঈদুল আযহার । তবে ঈদকে সামনে রেখে দৌলতখানে কামারশালায় নেই কোনো ব্যস্ততা। ক্রেতাদেরও তেমন কোন ভিড় দেখা যায়নি। যেখানে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কামারশালাগুলোতে টুংটাং শব্দ লেগেই থাকতো । বর্তমানে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে সরকারের কঠোর লকডাউনের মধ্যে ক্রেতা পাওয়া নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন কামাররা।’

উপজেলার বিভিন্ন কামারশালা ঘুরে দেখা গেছে, আগের মতো ব্যস্ততা নেই কামারদের। লকডাউনের মধ্যে কয়েকটি কামারশালা খোলা থাকলেও, কাজ নেই । তবে স্বাভাবিক পরিবেশে এক মাস আগে থেকেই কামারশালায় হাতিয়ার বানানোর কাজ শুরু হতো। কামারশালার পাশ দিয়ে গেলেই শোনা যেত টুংটাং আর লোহা গরম করা ভাতির শব্দ। কিন্তু এবারের চিত্র পুরোপুরি ভিন্ন।

উপজেলার প্রাণকেন্দ্র বিউটি রোড এলাকা, পৌর শহরের দক্ষিণ মাথা, নুর মিয়ারহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় কামারশালা রয়েছে। সেখানে কামাররা দা, ছুরি, কোপতা তৈরির কাজ করেন। ঈদুল আযহা সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করতেন কামাররা। কিন্তু এখন তাদের হাতে কাজ নেই। কামারশালায় অলস সময় পার করছেন তারা। দৌলতখান পৌরসভা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের যুবরাজ কর্মকার জানান, ‘এ বছরও ব্যবসার সময়টাতে লকডাউন। ঈদ আসলে তাদের কাজের অনেক চাপ থাকতো , কিন্তু এবার তাদের তেমন কোন কাজ নেই। তিনি আরো বলেন, ‘ঈদের এক মাস আগে থেকেই দা, ছুরি, বটি, চাপাতিসহ নানা হাতিয়ার তৈরি করা শুরু হতো। গত বছর এসময় বিভিন্ন হাতিয়ার বিক্রি করে দৈনিক ৪ থেকে ৫হাজর টাকা সেল হতো। এখন দৈনিক ১হাজার টাকারও হাতিয়ার বিক্রি হয়না। নেই কাজের ব্যস্ততা। সেই সঙ্গে কামারশালার সামনে বিক্রি করার জন্য সাজানো থাকতো পশু কোরবানির বিভিন্ন সরঞ্জাম আর বিক্রি শুরু হতো এক সপ্তাহ আগে থেকেই। কিন্তু এ বছর তেমন ক্রেতাও নেই, তাই কাজ পাওয়া যাচ্ছে না। লকডাউনের কারণে ক্রেতারা আসতে পারছেন না। ফলে কাজ অর্ধেকে নেমে এসেছে, এতে করে কোনোরকমে চলছে তার কামারশালা।’

অমৃত লাল নামে এক কর্মকার জানালেন, ‘কোরবানির আগের মাস থেকেই ব্যবসা চাঙ্গা হতো। কিন্তু এ বছর তাদের কাজে কোন ব্যস্ততা নেই। তিনি আরো বলেন, জিনিসপত্রের দামও বেড়ে গেছে, তার আগে থেকেই হাতিয়ার তৈরি করতে সাহস পাওয়া যাচ্ছে না। ভাতি ব্যবহারে কয়লা মজুদ করে রাখতে হতো, এবার সেটি নেই। তিনি আরো বলেন, দা ও বটি বানাতে ৫০০, বড় ছুরি ৬০০ টাকা, শান দেওয়ার মজুরি প্রকার ভেদে ৮০ ও ১০০টাকা নেওয়া হচ্ছে। তবে তারা এবছর প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেন।’

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন