বগুড়ায় জমে উঠেছে মৌসুমী ফল কাঠালের বাজার। প্রায় প্রতিদিনই বিক্রেতারা উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে কাঁঠাল বিক্রি করতে আসছেন বাজারে। কেউ নিজের উৎপাদিত কাঁঠাল নিয়ে বাজারে আসছেন, আবার কেউ আসছেন গ্রাম থেকে খুচরা কিনে পাইকারী বিক্রি করতে।
জেলার সবচেয়ে বড় কাঁঠালের বাজার মহাস্থানে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সারি সারি ভ্যান ও ভটভটিতে সুন্দর ভাবে সাজিয়ে রাখা হয়েছে হাজার হাজার কাঁঠাল। ছোট-বড়-মাঝাড়ি প্রায় সব আকারের কাঁঠালে ভরে গেছে বাজারের নির্ধারিত যায়গা। আমদানি বেশি হওয়ায় বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের পাশেও কিছু কিছু কাঁঠালের ভ্যান রাখা হয়েছে। বাজারে কাঁঠালের ব্যাপক আমদানি হলেও ভালো দাম পেয়ে খুশি সাধারণ বিক্রেতারা। তবে এবারের কাঁঠাল ব্যবসায় গত বছরের তুলনায় লাভ কম হচ্ছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
মহাস্থান বাজারে কাঁঠাল নিয়ে আসা ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম বলেন, আমরা গ্রাম থেকে খুচরা দামে কাঁঠাল কিনে মহাস্থান বাজারে বিক্রি করি। প্রতিটি কাঠাল ৩০ থেকে ৬০ টাকা করে কিনেছি। এই কাঁঠাল বড় ব্যবসায়ীরা কিনে ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে বিক্রি করে।
কাঁঠাল ব্যবসায়ী আকবর হোসেন জানান, আমি পাঁচশ কাঠাল বিক্রি করতে এনেছি। গ্রামে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কাঁঠাল চড়া দামে কেনায় এবার তেমন একটা লাভ হচ্ছে না। একশ কাঁঠাল ৭ হাজার টাকায় কিনেছি। পরিবহন খরচ বাবদ এক হাজার টাকা খরচ হয়েছে। যা সর্বোচ্চ সাড়ে ৮ থেকে ৯ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারবো। তবে কাঁঠাল বিক্রি করে ভালো দাম পাওয়ায় অনেকটা ফুরফুরে মেজাজ লক্ষ্য করা গেছে গ্রামের সাধারণ বিক্রেতাদের মাঝে।
এদিকে চলমান করোনা মহামারিতে কাঠাল বাজারে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় অনেকটা স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়েই কাঁঠাল কেনাবেচা করতে দেখা গেছে ক্রেতা বিক্রেতাদের।
তবে দাম যাই হোক, এলাকার পুষ্টি চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কাঁঠাল রফতানি করায় আর্থিক ভাবে সাবলম্বি হচ্ছেন এ এলাকার মানুষ। তাই ক্রেতা বিক্রেতা উভয়েরই স্বার্থের কথা ভেবে দাম স্থিতিশীল রাখার দাবি সচেতন ক্রেতা ও বিক্রেতাদের।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন