শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ফতুল্লায় বন্ধুকে খুন করে মিশুক ছিনতাই, আটক ১

নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৪ জুলাই, ২০২১, ৭:৩০ পিএম

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় এক বন্ধু সু-কৌশলে আরেক বন্ধুকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে ব্যাটারি চালিত মিশুক গাড়ি ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। চালককে হত্যা করে লাশ একটি মাছের খামারে ফেলে দিয়ে যায়। নিহত মিশুক চালকের নাম রবিন (২৫)।

মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) রাতে মিশুক চালককে হত্যা করে বক্তাবলীর চর রাজাপুরস্থ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ আলীর খামারে লাশটি ফেলে চলে যায়। বুধবার (১৪ জুলাই) দুপুরে খবর পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।

ঐদিকে রবিনকে হত্যা করে মিশুক ছিনিয়ে নিয়ে ফতুল্লার ধর্মগঞ্জে বিক্রি করতে গেলে এলাকাবাসী মিশুক সহ রিফাতকে (২৬) আটক করে রবিনের ভাড়াটিয়া বাসায় নিয়ে আসে। সেখানে এলাকার লোকজন রিফাতকে উত্তম মাধ্যম দিতে থাকে। পরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে রিফাতকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

নিহত রবিন মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ি থানার খিলপাড়া এলাকার আবুল কালামের ছেলে। সে তার মা স্ত্রী ও ৮ মাসের কন্যা সন্তানকে নিয়ে ফতুল্লার নরসিংপুর মরাখাল পাড় এলাকার সাজেদার বাড়িতে বসবাস করে। সে মিশুক গাড়ি চালাতো আর স্ত্রী আফসানা ৮ মাসের দুধের শিশুকে রেখে গার্মেন্টে চাকরী করে। আটককৃত রিফাত ফরিদপুরের নগরকান্দা থানার আশফরদি মোঃ মিরাজ সরদারের ছেলে। সে পরিবারের সাথে ফতুল্লার শাসনগাও হুজুরের ভাড়াটিয়া বাসায় বসবাস করে। সে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক চালক।

নিহত রবিনের মা মনোয়ারা বেগম জানান, রবিন তাদের ভাড়াটিয়া বাড়ির মালিক সাজেদা বেগমের মিশুক চালাতো। মঙ্গলবার সন্ধায় রবিন মিশুক নিয়ে বের হয়। রাতে সে বাসায় ফিরে আসেনি। বুধবার দুপুরে লোক মাধ্যমে জানতে পারি রবিনকে কে বা কারা যেন হত্যা করে বক্তাবলীর চর রাজাপুরস্থ মাছের খামারে ফেলে রেখেছে। পরে সেখানে গিয়ে রবিনের পরিচয় শনাক্ত কর।

তিনি আরো জানান, রবিনের বাবা থেকেও না থাকার মত। রবিনকে গত দুই বছর আগে বিয়ে করাইছি। তার একটি ৮ মাসের কন্যা সন্তান রয়েছে। এখন শিশু বাচ্চাটা বড় হয়ে কাকে বাবা বলে ডাকবে। যারা নিস্পাপ শিশুকে এতিম করেছে তাদের বিচার চাই।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান জানান, বুধবার দুপুরে বক্তাবলীর চররাজাপুর এলাকার মাছের খাবারে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে সংবাদ দিলে এসআই সোহাগ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। পরে লাশ সনাক্ত হওয়ার পর তিনটার সময় হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত রিফাতকে মিশুক সহ আটক করা হয়। নিহত রবিন ও রিফাত ঘনিষ্ট বন্ধু। মূলত মিশুক ছিনিয়ে নিতেই রবিনকে হত্যা করেছে কিনা তার পিছনে অন্য কিছু আছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, হত্যাকান্ডে যারা জড়িত রয়েছে কেউ ছাড় পাবে না। আশা করছি হত্যাকান্ডের যারা জড়িত খুব শিগ্রই তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে পারবো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন