বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ নির্ধারণে জাতীয় মানদন্ড আইন প্রণয়নের দাবি বিএনপির

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ জুলাই, ২০২১, ৬:৪২ পিএম

কল-কারখানার দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ নির্ধারণে ‘জাতীয় মানদন্ড আইন’ প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে বিএনপি। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড কোম্পানির ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে নিহত-আহত শ্রমিকদের পর্যাপ্ত ক্ষতি পূরণের দাবি জানাতে গিয়ে দলের পক্ষ থেকে স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম এই দাবি জানান।

তিনি বলেন, একটা ঘটনা ঘটবে, আমরা কয়েকদিন হৈ চৈ করব তারপর সবাই আবার চুপ করে যাবো। এটার একটা স্থায়ী সমাধানের জন্য আমরা প্রস্তাব করেছি একটা জাতীয় মানদন্ড আইনের মাধ্যমে দুর্ঘটনায় শ্রমিকরা কি ক্ষতিপূরণ পাবে, আহতরা, নিহতরা কি ক্ষতিপূরণ পাবে, মালিকের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা হবে এবং যারা এটার পরিদর্শনের দায়িত্বে তাদের কোনো অবহেলা থাকলে তার বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা হবে। যাতে ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে।

বৃহস্পতিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, মানুষ কাজ করতে যায় জীবন বাঁচানোর জন্য, জীবিকা অর্জনের জন্য। সেখানে কাজ করতে যেয়ে যদি মানুষকে অকালে জীবন দিতে হয় তাহলে তো সেটা কারখানা না, ওটা একটা মৃত্যুকুপ। এটা তো কোনো রাষ্ট্র মেনে নিতে পারে না, মানা উচিত না। অতএব এটা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। আমরা আশা করবো রাষ্ট্র সে দায়িত্ব পালন করবে।

তিনি বলেন, হাসেম ফুড কোম্পানির ৯৯৩ কোটি টাকাসহ পুরো সজীব গ্রুপের ব্যাংক ঋণের পরিমাণ প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা। অথচ এই কারখানার শ্রমিকেরা গত ২ মাস ধরে বেতন ও ওভারটাইম ভাতা না পাওয়ায় বিক্ষোভ করেছে এবং পুলিশের মধ্যস্থতায় গত ৫ তারিখ আংশিক পাওনা পরিশোধের কথা থাকলেও তা করা হয়নি। এই অবস্থায় শ্রমিকেরা অকালে নিহত হলেন এবং তাদের স্বজনেরা খালি হাতে ফিরে গেছেন।এমন অমানবিক ঘটনা নিন্দনীয় এবং বিচারযোগ্য অপরাধ। চাপের মুখে গতকাল কিছু শ্রমিক জুন মাসের বেতন পেয়েছেন। অন্যদের প্রাপ্যতা অনিশ্চিত। এখনো ওভার টাইম এবং বোনাস দেয়া হয়নি। অবিলম্বে সকল শ্রমিকদের বেতন, ওভারটাইম ও ঈদ বোনাস প্রদানের দাবি জানান এই শ্রমিক নেতা।

নজরুল ইসলাম বলেন, জাতীয় ভবন নীতিমালা অনুযায়ী এই আয়তনের ভবনে কমপক্ষে চার থেকে পাঁচটি সিঁড়ি থাকা জরুরি ছিলো। অথচ ছিলো মাত্র ২টি। পুঁড়ে নিহত হওয়া ৪৯টি লাশই পাওয়া গেছে ভবনের চতুর্থ তলায়। সেখানে কর্মরতদের কাছে জানা যায় যে, চতুর্থ তলার গেট বন্ধ ছিলো বলে কেউ বের হতে পারেনি। বিষয়টি উপযুক্ত তদন্ত আমরা দাবি করছি।

তিনি বলেন, যারা মারা গেছেন তাদের আত্মীয়স্বজনরা খালি হাতে ফিরে গেছেন। মালিকপক্ষ থেকে নাকি বলা হয়েছে যে, পরিচিতির কার্ড দেন। কোথাও পাবে সেই কার্ড। যারা মারা গেছে তারা তো কার্ডসহ জ্বলে-পুঁড়ে চলে গেছে। এটা চেয়ে যদি আপনি বকেয়া পরিশোধ না করেন তার মানে আপনি পেমেন্ট করতে চাচ্ছেন না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন