রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্বাস্থ্য

নসোকমিয়াল নিউমোনিয়া

ডা. ফজলুল কবীর পাভেল | প্রকাশের সময় : ১৬ জুলাই, ২০২১, ১২:০২ এএম

নামটা অনেকের কাছেই অপরিচিত লাগবে। যদিও চিকিৎসকরা এই নামটার সাথে পরিচিত। হাসপাতালে প্রায়ই এ রোগ দেখা যায়। নিউমোনিয়া মানে ফুসফুসের প্রদাহ। কোন রোগীর হাসপাতালে ভর্তির ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে যাবার পর যদি নিউমোনিয়া দেখা দেয় তবে তাকে নসোকমিয়াল নিউমোনিয়া বলে।

হাসপাতালে যারা ভর্তি হয় তাদের সবার যে আবার এই নিউমোনিয়া হয় তা নয়। যাদের বয়স বেশি, ওজন বেশি, ধূমপান করেন, দীর্ঘদিন হাসপাতালে অবস্থান করেন, দীর্ঘদিন অজ্ঞান অবস্থায় থাকেন, পেটের বা বুকের অপারেশন করা হয় তাদের নসোকমিয়াল নিউমোনিয়া হবার ঝুঁকি বেশি। সচরাচর যেসব জীবাণু দিয়ে নিউমোনিয়া হয় নসোকমিয়াল নিউমোনিয়ার জীবাণুু একটু ভিন্ন ধরনের হয়। সাধারণত গ্রাম নেগেটিভ ব্যাকটেরিয়া এবং এনেরোবিক ব্যাকটেরিয়া দিয়ে নসোকমিয়াল নিউমোনিয়া হয়।

নসোকমিয়াল নিউমোনিয়াতে বিভিন্ন উপসর্গ থাকে। যেমন-
১। জ্বর ২। কাশি ৩। বুক ব্যথা ৪। কাশির সাথে রক্ত
৫। অস্বস্তি ৬। বমিভাব, বমি ৭। শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি
ভালোভাবে ইতিহাস নিয়ে এবং শারীরিক পরীক্ষা করলে নসোকমিয়াল নিউমোনিয়া ডায়াগনসিস করা যায়। রক্ত পরীক্ষায় এবং এক্সরেতে সহজেই এ রোগ বোঝা যায়।

এন্টিবায়োটিক দিয়ে এই অসুখের চিকিৎসা করা হয়। নসোকমিয়াল নিউমোনিয়া বহুলাংশে প্রতিরোধ করা যায়। ধূমপান বর্জন করতে হবে। অতিরিক্ত ওজন কমানো উচিত। তাতে বহু সমস্যার হাত থেকে বাঁচা যায়। অপারেশনের পর দ্রæত চলাফেরা শুরু করা উচিত। হাসপাতালে যেসব যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয় সেসব জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে। হাসপাতালে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখলে নসোকমিয়াল নিউমোনিয়া অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন