শুধুমাত্র কম্পিউটারে কাগুজে প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করেই প্রশান্ত কুমার হালদার (পি. কে. হালদার) হাতিয়ে নেন ২ হাজার কোটি টাকা। হাতিয়ে নেয়ার টাকার মধ্যে ৪শ’ কোটি পাচার করেছেন ভারত, সিঙ্গাপুর এবং কানাডা। অর্থ আত্মসাতের এসব ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেন আত্মসাৎকারী হিসেবে পিকে হালদার সন্দেহের আওতায় আসার আগেই। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর গভীর অনুসন্ধানে উদঘাটিত হয়েছে এ তথ্য। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আরও অন্তত ৩০টি মামলা রুজুর প্রস্তুতি নিচ্ছে সংস্থাটি। এসব মামলায় আসামি করা হবে অন্ততঃ ৭৫ জনকে। দুদকের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে এসব তথ্য।
সূত্রমতে, পিকে হালদারের অর্থ আত্মসাতের প্রথম বছরগুলো ছিলো অভিনব এবং বিস্ময়কর। এ অধ্যায়ের কথা সবার কাছেই ছিলো অজানা। কম্পিউটার থেকে বিভিন্ন কোম্পানির নাম প্রিন্ট আউট করে সেসব কোম্পানির বিপরীতে হাতিয়ে নেন অর্থ। ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে কাগুজে প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে লুট করেন ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। একই ব্যক্তির মালিকানাধীন অন্ততঃ ৩০টি প্রতিষ্ঠান এফএএস ফাইন্যান্স, রিলায়েন্স ফাইন্যান্স এবং পিপলস লিজিং থেকে লুট করেন ৭ হাজার ৫শ’ কোটি।
এফএএস ফাইন্যান্স থেকে নেন ২ হাজার ২শ’ কোটি টাকা। রিলায়েন্স ফাইন্যান্স থেকে নেন ২ হাজার ৫শ’ কোটি। পিপলস লিজিং থেকে নেন ৩ হাজার কোটি। ‘ঋণ’ হিসেবে এসব অর্থ নিলেও বিপরীতে কোনো সম্পত্তি বন্ধক নেই। ফলে এসব প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণের টাকা পুনরুদ্ধার করা সম্ভবও নয়।
সূত্রমতে, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ও এফএএস ফাইন্যান্সের অন্তত ৩০টি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের অনুকুলে মর্টগেজ ছাড়াই প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা জালিয়াতিপূূর্ণ ঋণ প্রদানের রেকর্ড হস্তগত করেছে দুদক। আরবি এন্টারপ্রাইজ, জি এন্ড জি এন্টারপ্রাইজ, তামিম এন্ড তালহা এন্টারপ্রাইজ, ক্রসরোড কর্পোরেশন, মেরিন ট্রাস্ট, নিউটেক, এমএসটি মেরিন, গ্রীনলাইন ডেভেলমেন্ট, মেসার্স বর্ণসহ প্রায় ৩০টির মতো অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানে নামে ‘ঋণ’ হিসেবে নেয়া হয় এ অর্থ।
সব ঋণের টাকার চূড়ান্ত গন্তব্য পিকে হালদার: ‘কনিকা এন্টারপ্রাইজ’। এটির মালিক দেখানো হয়েছে রাম প্রসাদ রায়। ঠিকানা: ৩০, গুলশান এভিনিউ নর্থ বাণিজ্যিক এলাকা, জাহেদ প্লাজা ৭ম তলা, গুলশান, ঢাকা। নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহ করার উদ্দেশ্যে নতুন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান কনিকা এন্টারপ্রাইজকে চলতি মূলধনখাতে ‘ঋণ’ দেয়া হয়। রাম প্রসাদ রায় ২০১৭ সালের ৩০ নভেম্বর এফএএস ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিঃ-এর কাছে আবেদন করেন। ওইবছর ১৩ ডিসেম্বর এফএএস ফাইন্যান্সে অনুষ্ঠিত ১৯৪-তম পরিচালনা পর্ষদ সভায় প্রতিষ্ঠানটির অনুকূলে ৪৫ কোটি টাকা স্বল্পমেয়াদী ঋণ মঞ্জুর করা হয়।
ঋণের বিপরীতে ২শ’ শতাংশ জমি (তাৎক্ষণিক বাজার মূল্য পায ২৫.৬০ কোটি টাকা) বন্ধক রাখা হয়। কথিত বন্ধকী সম্পত্তির মালিক মূলত পিকে হালদার। ঋণের বিপরীতে একাউন্টে কোনো আদায় বা বিক্রয়লব্ধ অর্থ জমা-উত্তোলনের রেকর্ড নেই। তথাপি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ঋণটি নবায়নের জন্য সুপারিশসহ পরিচালনা পর্ষদে উপস্থাপন করে। ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর পরিচালনা পর্ষদের ২০৬তম সভায় প্রস্তাবটির অনুমোদন হয়। পরিদর্শনকালীন ঋণের স্থিতি ছিল ৪৯.১৮ কোটি টাকা।
গ্রাহকের অনুকূলে মঞ্জুরীকৃত ঋণের ৪৫ কোটি টাকার মধ্যে অন্তত ১১.৩২ কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের ৩টি চেক ব্যবহারের মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লি.-এ স্থানান্তরপূর্বক ‘সন্দীপ কর্পোরেশন’, ‘এস. এ. এন্টারপ্রাইজ’, ‘আরবি এন্টারপ্রাইজ’, দ্রিনান এ্যাপারেলস লিঃ, বর্ণ, ইমেক্সো এবং পি এন্ড এল ইন্টারন্যাশনাল লিঃ এর দায় পরিশোধ করা হয়।
আবার, এফএএস ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিঃ এর অপর ঋণগ্রহিতা প্রতিষ্ঠান এমটিবি মেরিন লিঃ’র হিসাবে চারটি চেকের মাধ্যমে মোট ৪ কোটি টাকা, ওয়ান ব্যাংক লিঃ স্টেশন রোড শাখা, চট্টগ্রাম’র গ্রাহক জে কে ট্রেড ইন্টরন্যাশনাল এর হিসাবে ১টি চেকের মাধ্যমে ৫ কোটি টাকা, মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিঃ, মহাখালী শাখার গ্রাহক ফ্যাশন প্লাস লিঃ’র হিসাবে ২টি চেকের মাধ্যমে ২ কোটি টাকা এবং অবশিষ্ট ১৮ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানের নামে পরিচালিত ব্যাংক এশিয়া লিঃ এর হিসাবে জমা করা হয়।
উল্লেখ্য, জে. কে. ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল’র ওয়ান ব্যাংক লিঃ এ পরিচালিত হিসাব ০৭৪৩০০০০০০২৮১ হতে দেখা যায় যে, প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসায়ের ধরন: আমদানিকারক এবং প্রতিষ্ঠানটির সত্ত্বাধিকারী ইরফান আহমেদ খাঁন। হিসাবটিতে মাত্র ০৪ (চার) মাস সময়ের জন্য পরিচালিত হয়, যেখানে স্বল্পসময়ের ব্যবধানে কয়েকটি ব্যাংকের ৮টি চেকের মাধ্যমে ২০ কোটি টাকা জমা করা হয়। এ অর্থ উত্তোলন ও স্থানান্তর শেষে হিসাবটি বন্ধ করা হয়।
আবার, জে. কে. ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল’র হিসাব থেকে নিটল মটরস লিঃ, হজ্জ্ব অটোমোবাইলস, মাসুদ এন্টারপ্রাইজের একাউন্টে অর্থ স্থানান্তর করা হয়। কয়েকজন ব্যক্তি এ অর্থ নগদ উত্তোলন করেন। ফলে, অটোমোবাইল কোম্পানীকে অর্থ পরিশোধের মাধ্যমে গাড়ী কিনে উৎকোচ হিসেবে পিকে হালদারকে দেয়া হয়। অপরদিকে, ফ্যাশন প্লাস লিঃ-এর হিসাব (নম্বর-১১৪৭১১১১৭৭৬৭৯৮৫) খোলার ফরমে দেখা যায় যে, প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক এ. কে. এম. শহীদ রেজা (মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিঃ এর পরিচালক), রেজার স্ত্রী জোবেদা বেগম, রেজার ভাই শওকত রেজা এবং শওকত রেজার স্ত্রী নাহিদ রেজা।
এক্ষেত্রে ঋণের অর্থ একজন ব্যাংক পরিচালকের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের হিসাবে স্থানান্তর হওয়ায় তিনি এ ঋণের সুবিধাভোগী। অন্যদিকে, ঋণগ্রহিতা প্রতিষ্ঠান কনিকা এন্টারপ্রাইজের অর্থ অপর ঋণগ্রহিতা প্রতিষ্ঠান ‘এমটিবি মেরিন লিঃ’র-এর একাউন্টে স্থানান্তর হওয়ায় প্রতিষ্ঠান দু’টি একে অপরের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট।
এছাড়া ২০১৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি চারটি চেকের মাধ্যমে ঋণগ্রহিতা ‘কনিকা এন্টারপ্রাইজ’র নামে পরিচালিত ব্যাংক এশিয়া লিঃ, কর্পোরেট শাখা, ঢাকা’র হিসাব নম্বর (০০২৩৩০১২২১৯)-এ জমাকৃত ১৮ কোটি টাকাসহ একই তারিখে ২০ কোটি টাকা পিপলস লিজিং এন্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিঃ (পুনর্জীবন প্রক্রিয়াধীন)-এর অনুকূলে স্থানান্তর করা হয়।
‘মুন এন্টারপ্রাইজ’ও ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। এটির মালিক শঙ্খ বেপারি। ঠিকানা: ৩০, গুলশান এভিনিউ নর্থ বাণিজ্যিক এলাকা, জাহেদ প্লাজা-৭ম তলা, গুলশান, ঢাকা। এটিও নির্মাণ সামগ্রী আমদানি-রপ্তানিকারক। শঙ্খ বেপারি ২০১৬ সালের ৬ মার্চ ঋণের আবেদন করে।
একইবছর ২২ মার্চ এফএএস ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিঃ’র ১৭৬-তম পরিচালনা পর্ষদ সভায় ৩৫ কোটি টাকার ‘স্বল্পমেয়াদী ঋণ’ মঞ্জুর হয়। ঋণের বিপরীতে ১৫০ শতাংশ জমি (তাৎক্ষণিক বাজার মূল্য প্রায় ১৯.৩৪ কোটি টাকা) বন্ধক রাখা হয়। এ সম্পত্তির মালিকও পিকে হালদার। কনিকা এন্টারপ্রাইজ এবং মুন এন্টারপ্রাইজের কার্যালয় একই ঠিকানায়।
ঋণের বিপরীতে একাউন্টে অর্থ উত্তোলন ও জমার কোনো রেকর্ড নেই। তা সত্ত্বেও ২০১৮ সালের ২৭ মার্চ অনুষ্ঠিত ১৯৮তম পরিচালনা পর্ষদ সভায় প্রস্তাব অনুমোদন হয়। পরিদর্শনকালীন ঋণের স্থিতি ছিল ৪৯.১৮ কোটি টাকা।
মঞ্জুরীকৃত ৩৫ কোটি টাকার স্বল্প মেয়াদী ঋণের সম্পূর্ণ অর্থই বাংলাদেশ ব্যাংকের চেক (নম্বর-গ-০০০১২১১, তারিখ: ২৭/০৩/২০১৬) এর মাধ্যমে রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লি.-এর অনুকূলে স্থানান্তর করা হয়। পরবর্তীতে এ অর্থ মোঃ নওশেরুল ইসলামের মালিকানাধীন ‘মার্কো ট্রেড (টিএল-৪৫৯১২, ঠিকানা: ২৯, দীননাথ সেন রোড, গেন্ডারিয়া, ঢাকা)-এর ঋণ দায় পরিশোধে ব্যবহৃত হয়েছে।
‘বর্ণ’ ব্যক্তি মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠান। মালিক অনঙ্গ মোহন রায়। ঠিকানা: ৫৬, পুরানা পল্টন লাইন, ১১-তলা, কক্ষ#১, ১১, ও ১২, ভিআইপি রোড, কাকরাইল, ঢাকা। ধান, চাল, গম, ভুট্টা, মসুর ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি আমদানি ও সরবরাহকারী ব্যবসা। বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে নতুন এ গ্রাহককে মেয়াদী ঋণ প্রদানের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটির মালিক অনঙ্গ মোহন রায় ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর আবেদন করেন।
একই বছর ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত এফএএস ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিঃ’র ১৬৩-তম পরিচালনা পর্ষদ সভায় ২ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৬ (ছয়) বছরের জন্য ৩৮ কোটি টাকার মেয়াদী ঋণ মঞ্জুর করা হয়। ঋণের বিপরীতে ২১.৯০ শতাংশ জমি (তাৎক্ষণিক বাজার মূল্য ৩৩.৫১ কোটি টাকা) এর মালিক ওরিয়েল লিমিটেড, মালিক অনঙ্গ মোহন রায়, অর্থাৎ ‘অরিয়েল লিঃ’ ও ‘বর্ণ’ একই ব্যক্তির প্রতিষ্ঠান মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ঋণটির মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের ২০৬-তম সভায় অনুমোদন করা হয়।
পরিদর্শনকালীন ঋণের স্থিতি ছিল ৪০.৩৮ কোটি টাকা। গ্রাহকের অনুকূলে মঞ্জুরীকৃত ৩৮ কোটি টাকার ৬ (ছয়) বছরের মেয়াদী ঋণের ২০ কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের চেক (নম্বর-গ-০০০০১৭৮, তারিখ: ২৯/১২/২০১৪) এর মাধ্যমে ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিঃ-এর অনুকূলে ৮ কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের চেক (নম্বর-গ-০০০০২৩৬, তারিখ: ০৯/০২/২০১৫)র মাধ্যমে ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিঃ-এর অনুকূলে, ১০ কোটি টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের চেক (নম্বর-গ-০০০০১৮৯, তারিখ: ০৭/০১/২০১৫) এর মাধ্যমে রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিঃ এর অনুকূলে স্থানান্তর করা হয়।
২৮ কোটি টাকা পরবর্তীতে ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিঃ এ পরিচালিত রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিঃ এর হিসাবে জমা করে বাংলাদেশ ব্যাংকের চেক ব্যবহারের মাধ্যমে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়। প্রমাণিত হয় যে, এ অর্থ ঋণ-দায় পরিশোধে ব্যবহৃত হয়েছে। অথবা ঋণের প্রকৃত সুবিধাভোগীকে আড়াল করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের চেকের অপব্যবহার হয়েছে।
এই পদ্ধতিতে ‘আনান কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লি-র মালিক উজ্জ্বল কুমার নন্দী ৪০ কোটি টাকা, রতন কুমার বিশ্বাসের মালিকানাধীন নিউটেক এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড, ন্যাচার এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড, দেয়া শিপিং লিঃ, পূর্ণিমা রানী হালদার-স্বপন কুমার মিস্ত্রির স্ত্রী, সঞ্জীব কুমার হালদার, কোলাসিন লিঃ’র মালিক অতশী মৃধা (উত্তম কুমার মিন্ত্রীর স্ত্রী), ‘আর্থস্কোপ লিঃ’-এর মালিক মীরা দেউরি ও এমডি প্রশান্ত দেউরি, কাজী মমরেজ মাহমুদ, রাজিব সোম; রতন কুমার বিশ্বাস, ওমর শরীফ, সিগমা ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিঃ’-এর মালিক ইরফান উদ্দীন আহমেদ, শাহনাজ বেগম, জামিল মাহমুদ, সুখাদা প্রপার্টিজ’র মালিক অভিজিত অধিকারী, অমিতাভ অধিকারীসহ ৭৫ ব্যক্তি ২ হাজার কোটি টাকা লুট করেন। লুণ্ঠনকৃত অর্থের চূড়ান্ত গন্তব্য ছিলো পিকে হালদার।
এদিকে পিকে হালদারের অবাধ লুণ্ঠনে নিঃস্ব হয়ে যাওয়া আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্জীবীতকরণে নতুন বোর্ড গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একজন আইনজীবীকে (এডভোকেট কামাল উল আলম) পুনর্গঠিত পিপলস লিজিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি লুট হয়ে যাওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারে কার্যক্রম শুরু করেছেন।
এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধানে উঠে আসা তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে আরো ৩০টি মামলা রুজুর প্রস্তুতি চলছে। দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বিষয়টি অনুসন্ধান করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন