সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচন আগামী ২৮ জুলাই। করোনা পরিস্থিতি ও লকডাউনে প্রচার প্রচারণায় অনেকটা বাগড়া বসিয়েছে। তারপরও বসে নেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা। আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান চষে বেড়াচ্ছেন নির্বাচনী মাঠ। পরিবেশ পরিস্থিতি তার অনুকূলে হওয়ায় প্রচারণা তুঙ্গে রয়েছেন তিনি। তার কর্মী সমর্থকরা উদ্দীপ্ত। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র সহ বিভিন্ন দেশে থেকে দলের নেতাকর্মীরা দেশে এসেছেন নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে। সেকারণে নির্বাচনী আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়। বিরামহীন প্রচার প্রচারণা চোখে পড়ার মতো। সেই সাথে দলের স্থানীয় নেতাকর্মীরা তার বিজয় নিশ্চিতে একাট্রা হয়ে নেমেছেন মাঠে। প্রতিদিন ঘুরছেন নির্বাচনী এলাকার এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে। পোস্টার, লিফলেট সহ চলছে অবিরত মাইকিং। এ আসনের শুধু নৌকার সমর্থকরা ছাড়াও নির্বাচনী এলাকায় এক গ্রহণযোগ্য ইমেজ গড়ে তোলেছেন নৌকার প্রার্থী হাবিব। দীর্ঘদিন থেকে নির্বাচনী এলাকার মানুষের সাথে পারস্পরিক এক গভীর সম্পর্ক রয়েছে তার। মানুষের আপদে-বিপদে, সামাজিক অনুষ্ঠানে পাশে ছিলেন তিনি। দলমত নির্বিশেষে তার এ সম্পর্ক ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে নির্বাচনী মাঠে। সেকারণে মানুষের মুখে মুখে হাবিবের সুর।
আজ শনিবার (১৭ জুলাই) ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার উত্তর কুশিয়ারা ইউনিয়নে বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ ও পথসভায় অংশ নেন হাবিবুর রহমান হাবিব। সেখানে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের উন্নয়ন প্রশংসা কুড়াচ্ছে। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে আগামী ২৮শে জুলাই সিলেট ৩ আসনের উপ-নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার জন্য জনসাধারণের প্রতি আহবান জানান তিনি। এদিকে, জাতীয় পার্টির সমর্থিত প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিকও রয়েছেন মাঠে। তবে তার তৎপরতা চোখে পড়ছে না হাবিবের মতো। তারপরও চেষ্টা করছেন ভোটারদের নজর কাড়ার। অনেকটা গ্যারিলা কায়দায় ভোটের মাঠে রয়েছেন তিনি। দলের সাংগঠনিক ভিত্তি এ আসনে মজবুত না থাকায় অনেকটা কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হচ্ছে তাকে। যদিও এক সময় লাঙ্গলের শক্তিশালী ঘাঁটি ছিল এ আসনে। এখন নেই সেই দিন। ঝিমিয়ে পড়া পরিবেশ পরিস্থিতিকে জাগাতে চেষ্টা করছেন তিনি। তবে ভোট রাজনীতিতে এই মুহূর্তে নৌকার সাথে দৌড় চলছে লাঙ্গলের। সুবিধাজনক পরিস্থিতিতে নেই বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি শফি আহমদ চৌধুরী। বিএনপির কর্মী সমর্থক, সাংগঠনিক ভিত্তি থাকলেও তার কাজে আসছে এ এই শক্তি। দলের নির্দেশনার বাইরে যেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় বহিষ্কৃত হয়েছেন তিনি। এখন নিজেই লড়ছেন নির্বাচনী মাঠে। বয়োবৃদ্ধ শফি আহমদ চৌধুরী সব থাকতেই নি:সঙ্গ একা। অথচ দল তার সাথে থাকলে, শফি থাকতেন নৌকার প্রার্থী হাবিবের মাথা ব্যথার কারণ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন