আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাগনে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, নোয়াখালীর পুলিশ সুপার ও কোম্পানীগঞ্জের প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা এ অপরাজনীতির হোতাকে প্রশ্রয় দিয়ে তাকে নিরাপত্তা দিয়ে একের পর এক নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে আ.লীগকে ধ্বংসের নীল নকশায় মেতে উঠেছে। মেতে উঠেছে নির্লজ্জ চাঁদাবাজিতে। এখানকার টিআর কাবিখা, কাবিটা, সব তার পেটের মধ্যে। এখানে মন্ত্রীর তরফ থেকে দেয়া সব অনুদানের টাকা তার পেটের মধ্যে। এখানকার উন্নয়ন মূলক কাজ থেকে পিসির টাকা সে এক বারের জায়গায় দুইবার নিয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে নোয়াখালী ৫ আসনের সাবেক এমপি আবু নাছের চৌধুরী বাড়িতে কাদের মির্জার নির্দেশে তার অনুসারীদের হামলার প্রতিবাদে ও বিচারের দাবিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মঞ্জু বলেন, আবু নাছের চৌধূরী বাড়িতে পুলিশের সামনে গুলি করা হয়েছে। সেখানে পুলিশ কোন সন্ত্রাসীকে আটক করেনি। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলকে আব্দুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তার হাত পা ভেঙ্গে দিয়েছে। কিন্তু প্রশাসন আজকে পর্যন্ত এ ঘটনায় কোন মামলা নেয়নি।
আমারা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগ ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে কাজ করি। কিন্তু এ অপরাজনীতির হোতার কারণে সকল কর্মকান্ড বিঘ্নিত হচ্ছে। এ অপরাজনীতির হোতা নেতা, আমলা, মন্ত্রী কারো ইজ্জত সম্মান রাখেনি।
তিনি আরও বলেন, কাদের মির্জা কখন আ.লীগ করে কখন পদত্যাগ করে এটার কোন ঠিক নেই।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগ কাদের মির্জাকে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ পাঠিয়েছে। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সদস্য পদ থেকে কাদের মির্জাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করতে হবে। অন্যথায় ঈদের পরে আমরা কঠিন আন্দোলনে নামবো। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী প্রমূখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন