বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

দক্ষিণাঞ্চলে কোরবানির পশুর দাম চড়া

ক্রেতারা প্রতীক্ষায় শেষ হাটের

বরিশাল ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১৯ জুলাই, ২০২১, ১২:০৫ এএম

দক্ষিণাঞ্চলে কোরবানির গরুর দাম এবার যথেষ্ট চড়া হলেও প্রকৃত খামারি ও লালন-পালনকারীরা এর তেমন কোন সুফল পাচ্ছেন না। গত তিনদিন ধরে দক্ষিণাঞ্চলের অর্ধ সহস্রাধিক পশুর হাটে গরু-ছাগলের অভাব না থাকলেও দাম গত বছরের প্রায় দেড়গুণ। অথচ পশুর কোন ঘাটতি নেই। খামারি ও গৃহস্থদের নিজস্ব গরুতেই দক্ষিণাঞ্চলের কোরবানির পশুর চাহিদা মেটার কথা। তাছাড়াও মেহেরপুর, কুষ্টিয়া ও উত্তরাঞ্চল থেকে অল্প কিছু কোরবানির পশু দক্ষিণাঞ্চলে আসছে।

বাজার চড়া হলেও বেশিরভাগ খামারি ও গৃহস্থ আরো ১৫ দিন আগেই পাইকারদের কাছে তা বিক্রি করে দেয়ায় সুফল তারা পাচ্ছেন না। লকডাউনের কারণে অনেক খামারি ও গৃহস্থ ক্রেতা সঙ্কটের আশঙ্কায় আগেভাগেই পাইকারদের কাছে অনেকটা কম দামে পশু বিক্রি করেছেন। ফলে বর্তমান চড়া বাজারের সুফল তাদের ভাগ্যে জোটেনি। গত বছর দক্ষিণাঞ্চলে প্রায় ৫ লাখ পশু কোরবানি হয়েছে বলে জানিয়েছে বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদফতর। যার প্রায় সিংহভাগই স্থানীয় পশুর দ্বারাই মেটানো সম্ভব হয়েছিল। এবারো সে ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে মনে করছে অধিদফতরের দায়িত্বশীলরা।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের হিসেব মতে, এবারের ঈদুল আজহায় দক্ষিণাঞ্চলের খামারিরা ১ লাখ ১০ হাজার ষাঁড়, মহিষ, বাদল ও বাছুর ছাড়াও প্রায় ২৮ হাজার ছাগল ও দেড় সহস্রাধিক ভেড়া প্রস্তুত করেছেন। এছাড়া সাধারণ গৃহস্থরা আরো যে প্রায় ৩৪ লাখ গবাদি পশু লালন-পালন করছেন, তারও একটি বড় অংশে এ অঞ্চলের কোরবানির পশুর চাহিদার প্রায় পুরোটাই মিটবে। গৃহস্থ পর্যায়ে পালন করা ৩৪ লাখ গবাদি পশুর মধ্যে শঙ্কর জাতের গাভীর সংখ্যা প্রায় আড়াই লাখ।
প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক পশু হাটে-বাজারে উঠলেও বিক্রেতারা দাম হাঁকছেন গত বছরের দেড় গুণেরও বেশি। ফলে কোরবানি দাতারা বিভ্রান্ত। ঝালকাঠির সুগন্ধিয়ার হাটে বিভিন্ন এলাকার গরু-খাসি বিক্রি হয়ে থাকে। সঠিক দাম ও ভালো গরু-খাশির জন্য হাটটির সুনাম রয়েছে। এবার সেখানে বিভিন্ন এলাকার মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়লেও দাম শুনেই অনেকে ফিরে যাচ্ছেন। এছাড়া বরিশালের চরমোনাই হাট, বৌশের হাট, গুয়াচিত্রা হাট ও কসবার হাটেও প্রায় একই চিত্র। ফলে কোরবানির মাত্র দু’দিন হাতে থাকলেও দক্ষিণাঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষই এখনো পশু কিনতে পারেননি।
অনেক ক্রেতাই অপেক্ষায় আছেন দাম কমার। অনেকেই শেষ হাটের প্রতীক্ষায় রয়েছেন। অনেকেই বলেন, যেহেতু এবার কোরবানির পশুর কোন ঘাটতি নেই, কোরবানি দাতার সংখ্যাও তেমন বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই, সেহেতু গরু-খাসি বিক্রি করতে হলে দামে ছাড় দিতেই হবে। তাই শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করার পক্ষে অনেক ক্রেতা।
অপরদিকে অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রি শুরু হলেও হাজার দুয়েকের বেশি গরু বিক্রি হয়নি। পশুর হাটে জনসমাগম কমাতে সরকার এবার অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রিকে উৎসাহিত করছে। এ বিষয়ে দক্ষিণাঞ্চলেও প্রাণিসম্পদ অধিদফতর ব্যাপক তৎপর হলেও বিষয়টি নতুন বিধায় এখনো তা অতটা জনপ্রিয়তা অর্জন করেনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন