বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ফিজিওথেরাপিস্ট আইসিইউতে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ জুলাই, ২০২১, ১২:০৪ এএম

রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে বেসরকারি একটি ক্লিনিকের ফিজিওথেরাপিস্ট সুশান্ত মজুমদার অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে গুরুতর অসুস্থ। তিনি এখন রাজধানীর বেসরকারি একটি ক্লিনিকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউতে) চিকিৎসাধীন। গত শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার পর এ ঘটনা ঘটে। সুশান্তের ভাই সজল মজুমদার বলেন, তার ভাই পুরান ঢাকার একটি ক্লিনিকের ফিজিওথেরাপিস্ট হিসেবে কর্মরত। গত শনিবার রাতে হাসপাতালে দায়িত্ব শেষে তিনি যখন সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের বাসায় ফিরছিলেন, তখন এ ঘটনা ঘটে।

যাত্রীবেশে অজ্ঞান পার্টির সদস্য তার ভাইয়ের মুঠোফোনসহ অন্য জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে তাকে বেসরকারি একটি ক্লিনিকের আইসিইউতে রাখা হয়েছে। তার ভাইয়ের এখনো জ্ঞান ফেরেনি।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এসআই আবদুল কুদ্দুস বলেন, যাত্রীবেশে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা সুশান্ত মজুমদারকে অচেতন করে তার মালপত্র লুট করে নেয়। এ ঘটনায় আরিফ নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। পুরো ঘটনা উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে। এর আগে একই রাতে যাত্রাবাড়ী দয়াগঞ্জে মো. লিয়াকত (৫৫) নামে এক ব্যক্তি অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছেন। তিনি একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। পরে রাত সারে ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার পাকস্থলি ওয়াশ করানো হয়। এর আগে দয়াগঞ্জ শহীদ ফারুক রোড থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। নারায়ণগঞ্জের নাসির গ্রুপ অপ ইন্ডাস্ট্রিজ কোম্পানির সুইং মেকানিক্যাল ইনচার্জ হিসেবে চাকরি করেন তিনি।
লিয়াকতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান প্রতিষ্ঠানটির কোয়ালিটি ইনচার্জ আফতাব উদ্দিন। আফতাব উদ্দিন জানান, লিয়াকত থাকেন তারাবো এলাকায়। কোম্পানির সেলাই মেশিন কেনার জন্য সকাল ১১ টার দিকে ঢাকার আসেন। এরপর খবর পাওয়া যায় দয়াগঞ্জ শহীদ ফারুক রোডে অচেতন হয়ে পড়ে রয়েছেন তিনি। উদ্ধার করে তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিক্যালে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে স্টোমাক ওয়াশ করানোর পরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় মিটফোর্ড হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে।
তিনি আরো জানান, লিয়াকতের সঙ্গে মেশিনপত্র কেনার জন্য বেশ কিছু টাকা ছিল। সেগুলো তার কাছে আর পাওয়া যায়নি। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া জানান, রাতে অচেতন অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে সহকর্মীরা। পরে চিকিৎসকের পরামর্শের তাকে স্টোমাক ওয়াশ করানো হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন