বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

৬ মাসের বিক্রিতে আলেশা মার্টের লোকসান ২১০ কোটি টাকা

সংবাদ সম্মেলনে জানালেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ জুলাই, ২০২১, ১২:০৪ এএম

চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি ব্যবসা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ২১০ কোটি টাকা লোকসান গুনেছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্ট লিমিটেড। মোট এক হাজার ১০০ কোটি টাকার পণ্য কেনাবেচায় এ লোকসান হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর আলম শিকদার। গতকাল রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান। মঞ্জুর আলম শিকদার বলেন, আমাদের বিক্রিত একটি পণ্যে মূল্যছাড় দেওয়ার কারণে প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা লোকসান দিতে হয়েছে। আর অন্যান্য পণ্য বিক্রিতে মুনাফা হয়েছে ১৪০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে আমাদের লোকসানের পরিমাণ প্রায় ২১০ কোটি টাকা। লোকসানের অর্থের যোগান কীভাবে দিয়েছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান জানান, নিজের সম্পত্তি বিক্রি করে এ অর্থের সংস্থান করেছেন। এক্ষেত্রে কোনো ব্যাংক থেকে ঋণ নেননি তিনি। তবে, মূল্যছাড় দিয়ে আর ব্যবসা করা সম্ভব নয় জানিয়ে মঞ্জুর আলম শিকদার বলেন, মূল্যছাড় দিয়ে দীর্ঘ সময় ব্যবসা করা সম্ভব নয়। আমরা বাজার ধরতে ভর্তুকি দিয়ে ব্যবসা শুরু করেছিলাম। এখন থেকে আমরা আর ভর্তুকি দিবো না।
আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদার আরও জানান, ব্যবসা শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত সাড়ে তিন লাখ আদেশের বিপরীতে পণ্য সরবরাহ করেছেন তারা। যার বিপরীতে ভোক্তা অধিকার অধিদফতরে অভিযোগ পড়েছে ১০টি, যা খুবই নগণ্য বলে মন্তব্য করেন তিনি। মঞ্জুর আলম শিকদার আরও দাবি করেন, কোন ক্রেতা কিংবা পণ্য সরবরাহকারীর আলেশা মার্টের কাছে টাকা বা পণ্য বকেয়া আছে, এমন কোন প্রমাণ নেই। তবুও অন্যান্য ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলেশা মার্টকে কেন সাধারণীকরণ করা হচ্ছে, তা বুঝতে পারছেন না বলে মন্তব্য করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান। সরকারের ই-কমার্স নীতিমালার সমালোচনা করে মঞ্জুর আলম শিকদার বলেন, যে নীতিমালা করা হয়েছে, তা বাস্তবায়ন হলে বাজারে একক প্রতিষ্ঠানের আধিপত্য (মনোপলি) দেখা দিবে। ক্ষুদ্র এবং নতুন উদ্যোক্তারা ক্ষতির শিকার হবে। তাই ই-কমার্স নীতিমালা সংশোধনের দাবি জানান আলিশা মার্টের চেয়ারম্যান। পাশাপাশি ই-কমার্স খাতের প্রতিষ্ঠানে বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দেশীয় অংশীদারিত্ব কমপক্ষে ৫১ শতাংশ রাখার দাবিও করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ইভ্যালি, আলেশা মার্টসহ এ ধরনের আরও কয়েকটি ই-কমার্সের ব্যবসায়িক স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর তদন্ত শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যালান্স শিটে অনেক অসামঞ্জস্য উঠে আসে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশের ব্যাংকগুলো এসব প্রতিষ্ঠানে কার্ডে লেনদেন স্থগিত করার ঘোষণা দেয়। সর্বশেষ গত শনিবার বিকাশও তাদের সঙ্গে আর লেনদেন করবে না ঘোষণা দিয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন