ঈদুল আযহা উদযাপনে ঢাকার পার্শ্ববর্তী শিল্প অধ্যুষিত এলাকাগুলোর অধিকাংশ কারখানায় ছুটি হয়েছে। গতরাতে ছুটি ঘোষণার ফলে এসব কারখানায় কর্মরত প্রায় ৩০ লাখ শ্রমিক আজ গ্রামের বাড়ির পথে রয়েছেন।
সাভারের আশুলিয়া, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও খুলনা-এ ছয় এলাকা শ্রমঘন বলে বিবেচিত। এলাকাগুলোতে মোট কারখানার সংখ্যা ৭ হাজার ৮২৪টি। এরমধ্যে গতকাল রাত ১০ টা পর্যন্ত ৭ হাজার ৪৭৩ কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়।
শিল্প পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, আশুলিয়া-সাভার, গাজীপুর, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ এলাকার প্রায় ৩০ লাখ শ্রমিক গ্রামের বাড়ির পথে রয়েছেন।
এসব এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি তদারকির দায়িত্বে থাকে শিল্প পুলিশ। বাহিনীটির তথ্যমতে, এ ছয়টি শ্রমঘন এলাকায় বস্ত্র, তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, আসবাব, সেলফোন সংযোজন, ওষুধ ও অন্যান্য খাতের শিল্প কারখানা আছে।
শিল্প পুলিশের কর্মকর্তারা বলেছেন, ছুটি পেয়ে ৯৯ শতাংশ শ্রমিকই গ্রামে যাচ্ছেন। যে যেভাবে পারছেন যাবেন বা যাচ্ছেন। কিছু শ্রমিক আছেন যারা স্থানীয় তারা থাকছেন। সারা বাংলাদেশে শিল্প পুলিশের আওতায় থাকা কারখানাগুলোয় কম-বেশি ৪০ লাখ শ্রমিক কাজ করেন। এরমধ্যে ঢাকা-আশুলিয়া, গাজীপুর, নারায়নগঞ্জে শ্রমিক কাজ করেন প্রায় ৩০ লাখ।
আজ শেষদিনে সকাল থেকে সড়কে এই শ্রমিকদের ভিড়। ৯০ শতাংশই গ্রামে যাওয়ার পথে আছেন। শেষ পর্যন্ত কেউ থাকবেন না কর্মস্থলে।
কারখানা কর্তৃপক্ষ কয়দিন ছুটি দিয়েছেন জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, একেক কারখানা একেকভাবে ছুটি দিয়েছেন। ৩ থেকে সর্বোচ্চ ১০ দিন ছুটি পেয়েছেন শ্রমিকরা।
শিল্প অধ্যুষিত অন্যতম এলাকা আশুলিয়া-সাভারে কারখানা সংখ্যা ১ হাজার ২৩১। এরমধ্যে ১ হাজার ১৪২টিতে ছুটি হয়েছে। গাজীপুর এলাকায় কারখানা আছে ১ হাজার ৯০৩টি। যার ১ হাজার ৭৮১টিতে ছুটি হয়েছে। চট্টগ্রাম এলাকায় কারখানা সংখ্যা ১ হাজার ২৫০। ছুটি হয়েছে ১ হাজার ২০৩টিতে। নারায়ণগঞ্জ এলাকায় কারখানা সংখ্যা ২ হাজার ৫৮৪। ছুটি হয়েছে ২ হাজার ৫৩২টিতে। ময়মনসিংহ এলাকায় মোট কারখানা সংখ্যা ১৩১। সবগুলো কারখানা ছুটি ঘোষণা দিয়েছে। এ ছাড়া খুলনা এলাকায় শিল্প পুলিশের আওতাধীন কারখানা সংখ্যা ৭২৫।যারমধ্যে ৬৫৭টিতে ছুটি হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন