ঈদুল আজহার পর দ্বিতীয় দিন শুক্রবার ভোর থেকে শুরু হওয়া কঠোর লকডাউনে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে দফায় দফায় লকডাউন দিয়েও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল মিলছেনা নীলফামারীর সৈয়দপুরে। চলমান দুই সপ্তাহব্যাপি লকডাউনের আজ ১ম দিনে কোভিট-১৯ সংক্রমণ রোধে মানুষজনকে ঘরে রাখতে সেনা বাহিনীর কঠোর অবস্থানে দেখা গেছে। বিভিন্ন সড়ক ও মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে তারা লোক চলাচল নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। তবে সড়কগুলোতে রিক্সা ও ইজি বাইক চলাচল স্বাভাবিক ছিল। আজ শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল থেকে সৈয়দপুর শহরে বিভিন্ন সড়কে সেনাবাহিনীর চেকপোস্টের পাশা পাশি উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ সদস্যরা বিধি-নিষেধ বাস্তবায়নে মাঠে কাজ করছেন।
এদিকে দুই সপ্তাহব্যাপী এই লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। জরুরি কারণ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হলে ভ্রাম্যমান আদালতে হচ্ছে জরিমানা। আজ শহরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে রাখায় ১ব্যবসায়ীকে বিনাশ্রমে ৭ দিনের কারদন্ড ও ২১টি মামলায় ২০ জনের জরিমানা করেছেন ৫ হাজার ৪ শত টাকা ভ্যাম্যমান আদালত। শহরের বেশ কয়েকটি সড়ক ঘুরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থানের চিত্র দেখা যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) রমিজ আলম জানান, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় কাউকে থাকতে দিচ্ছিনা আমরা। ইতোমধ্যে স্বেচ্ছাসেবীর সংখ্যাও বৃদ্ধি করা হচ্ছে। আর যারা বাহির হচ্ছে, সড়কে থামিয়ে কোথায় যাচ্ছেন, কেন যাচ্ছেন- এমন সব প্রশ্নের পর সঠিক জবাব দিতে পারলেই সাধারণ মানুষকে গন্তব্যে যেতে দেওয়া হচ্ছে। উত্তর সঠিক না হলে ভ্রাম্যমানের আওতায় আনা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন