আফ্রিকা থেকে ইউরোপে যাওয়ার জন্য লিবিয়াকে রুট হিসেবে ব্যবহার করেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। খুব কম ক্ষেত্রে সফল হতে পারেন তারা। এর মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে ইউরোপ যাওয়ার পথে সাগরেই প্রাণ যায় অসংখ্য মানুষের। আবার ধরা পড়েন অনেকে। যারা লিবিয়ায় ধরা পড়ে বন্দিশিবিরে রয়েছেন, তাদের ‘অত্যন্ত অমানবিক’ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় আরব নিউজ।
জাতিসংঘের কো-অর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স (ওসিএইচএ) এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। জাতিসংঘ জানায়, উত্তর আফ্রিকার এ দেশ ব্যবহার করে ইউরোপ যাওয়ার সময় যারা ধরা পড়েন, তাদের ভোগান্তির শেষ নেই। লিবিয়ায় তাদের অনেককে বন্দিশিবিরে রাখা হয়েছে গাদাগাদি করে। সেখানে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের হয়রানি, মারধর, জোরপূর্বক শ্রম দিতে বাধ্য করা হয়। একই সঙ্গে তাদের বঞ্চিত করা হয় খাবার-পানি-সূর্যের আলো থেকে। এ ছাড়া লিবিয়ায় তীব্র দাবদাহের কারণে বিদ্যুৎ সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ফলে বন্দিশিবিরে থাকা ছয় হাজার ১৭০ জনের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী ‘অত্যন্ত অমানবিক’ পরিস্থিতিতে রয়েছেন।
চলতি বছরের শুরু থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ১৪ হাজার ৭০০ অভিবাসনপ্রত্যাশী এবং শরণার্থীকে লিবিয়ার কোস্টগার্ড সাগর থেকে উদ্ধার করেছে। শুধু জুন মাসেই উদ্ধার করা হয়েছে চার হাজার ৫০০ জনকে। এর পর তাদের ফিরিয়ে আনা হয় লিবিয়ায়।
ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) তথ্যানুযায়ী, মিসর, সুদান, নাইজার, চাদ এবং নাইজেরিয়া থেকে প্রচুর অভিবাসনপ্রত্যাশী লিবিয়ায় আশ্রয় নেন। এর পর সেখান থেকে তারা ইউরোপ যাওয়ার চেষ্টা চালান। বর্তমানে লিবিয়ায় ছয় লাখের মতো অভিবাসনপ্রত্যাশী রয়েছে। সূত্র : আরব নিউজ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন