বরগুনার বেতাগী উপজেলার সরিষামুড়ি ইউনিয়নের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আনাউল ইসলাম টিটুকে (৩৮) ফিল্মি স্টাইলে অপহরণ করে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যায় বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানের একান্ত সহচর মামলার ৯ নং আসামী মো: ফয়সাল বিশ্বাস (৩০), ৩৬ নং আসামী মো. আনিচ (৩৫) ও ৩২ নং আসামী আ: মজিদ মোল্লা (৩৫) নামের তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর ও বেতাগী সার্কেল) মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বাকিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এ ঘটনায় বর্তমান চেয়ারম্যান ইমাম হাসান শিপনকে ২১ নম্বর, তার স্ত্রী মোসা: রিক্তা বেগম ২৪ নম্বর এবং ছোট ভাই রেজাউল ইসলাম টিটুকে প্রধান আসামীসহ ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয় বেতাগী থানায়।
শুক্রবার রাতে (২৩ জুলাই) নিহত আনাউল ইসলাম টিটুর স্ত্রী শিল্পী বেগম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু। তবে এ হত্যা মামলায় আসামী করার বিষয় সরিষামুড়ির বর্তমান চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা ইমাম হাসান শিপন জোমাদ্দারের কাছে জানতে চাইলে তাঁর মুঠোফোনে কল দিলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
নিহতের স্ত্রী শিল্পী বেগম মুঠোফোনে বলেন, সরিষামুড়ির বর্তমান চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা ইমাম হাসান শিপন জোমাদ্দার ও তার আপন ভাই রেজাউল ইসলাম টিটুর নেতৃত্বে ৫০ জন সন্ত্রাসী গত সোমবার (১৯ জুলাই) তার স্বামী সাবেক ইউপি সদস্য মো. আনাউল ইসলাম টিটুকে ফিল্মি স্টাইলে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে গৌরিচন্না এলাকায় নিয়ে তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাঁকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তবে এ বিষয়ে বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু মুঠোফোনে জানান, হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও তদন্ত ও বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের স্বার্থে এখনই গ্রেপ্তারকৃতদের নাম বলা যাবে না। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন