পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় গত শুক্রবার সকালে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সংঘর্ষে আহত কৃষক আবদুল হক শিকদার (৫০) গভীর রাতে ঢাকা নেয়ার পথে মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর জেলা মর্গে প্রেরণ করেছে। আ. হক উপজেলার দক্ষিণ বড়মাছুয়া গ্রামের মৃত হাতেম আলী শিকদারের ছেলে।
শুক্রবার সকালের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত আ. হক শিকদারের চাচাতো ভাই রুহুল আমিন শিকদার ১৯ জন এজাহারনামিয় ও অজ্ঞতনামা ১০/১৫ জনকে আসামি করে শুক্রবার রাতে একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ ঘটনায় দক্ষিণ বড়মাছুয়া গ্রামের খালেক হাওলাদারের ছেলে ছগির হাওলাদার, একই গ্রামের মৃত হামেজ হাওলাদারের ছেলে নাছির হাওলাদার ও আবদুল গনি খার ছেলে আইউব আলী খাঁনকে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করেছে।
উল্লেখ্য, উপজেলার দক্ষিণ বড়মাছুয়া গ্রামের মৃত হামেজ হাওলাদারের ছেলে নাসির হাওলাদার গংদের সাথে একই গ্রামের মৃত হাতেম আলী শিকদারের ছেলে আবদুল হক শিকদার গংদের ৯ একর ১৪ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘ ধরে বিরোধ চলে আসলি। নিহত আবদুল হক শিকদার গং দলিলমূলে ও আদালতের ডিগ্রি প্রাপ্ত হয়ে ৫০/৬০ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছিল। ওই জমির মালিকানা দাবি করে প্রতিপক্ষ নাছির গংরা আদালতে মামলা দায়ের করলে ওই মামলাও চলমান। গত শুক্রবার সকালে নিহত আবদুল হক গংরা তাদের ভোগ দখলীয় জমিতে চাষাবাদ করতে গেলে প্রতিপক্ষ নাছির, ছগির ও আইউব আলী দারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালালে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এতে উভয় পক্ষের ২০জন আহত হয়। আবদুল হকসহ গুরুতর আহত ৮ জনকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে স্থান্তর করা হয়।
পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাঈদুর রহমান (পিপি) বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে। ইতোমধ্যেই এজাহারনামিয় ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরকে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করা হবে।