পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ থাকায় আষাঢ়ের বৃষ্টির পানিতে নাটোরের লালপুর উপজেলার উত্তর লালপুর ও জৌতদৈবকী এলাকার মাসব্যাপী পানিবন্দী হয়ে মানবেতার জীবনজাপন করছেন শতাধিক পরিবার। এদিকে, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদনও করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, পানিবদ্ধতায় উপজেলার উত্তর লালপুর ও জৌতদৈবকী গ্রামের শতাধিক বাড়ির চারপাশ ও উঠানে পানি জমে আছে। পানি জমে থাকায় রান্নাসহ চলাচলে চরম বিপদে রয়েছে পনিবন্দী পরিবারগুলো। জৌতদৈবকী এলাকার এরশাদ আলী শেখ ও মনাসহ স্থানীয়রা বলছেন, জন্মের পর থেকেই তারা দেখে আসছেন এই দুই গ্রামের বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হতো গ্রামের পশ্চিমপাশ দিয়ে মাঠে। এ বছর কয়েকজন গ্রামের মানুষ পানি নিষ্কাশনের ঐ স্থানে পাকা ওয়াল ও মাটি দিয়ে ভরাট করে দিয়েছে। ফলে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ থাকায় বর্ষা মৌসুমের বৃষ্টির পানি জমে পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। আমারা ইউএনওকেও বিষয়টি জানিয়েছি। কিন্তু তিনি এসে দেখে গেলেও এর কোন সমাধান হয়নি। মরিয়ম আক্তার বলেন, নিষ্কাশনের পথ বন্ধ থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেও পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে পানি বাড়ির উঠানে উঠে আসে। আমারা দীর্ঘ একমাস ধরে এই অবস্থায় জীবন জাপন করছি। আমাদের হাতে পায়ে ঘাসহ ছেলে-মেয়ে নিয়ে খুব বিপদে আছি।
লালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক পলাশ জানান, ইউএনওসহ স্থানীয়দের নিয়ে আমরা পানি নিষ্কাশনের জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন কাটা যায়নি। তারপরেও আমরা চেষ্টা করছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে। লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী আক্তার জানান, আমি অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থার জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের উপর দায়িত্ব দিয়েছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন