শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

বিদ্যুৎ বিল দেয়া বন্ধ, অন্ধকারে মিয়ানমার, চরম লোডশেডিংয়ে ভেঙে পড়ছে স্বাস্থ্যসেবা

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০২১, ৭:৪০ পিএম

মিয়ানমারে সেনা শাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের পাশাপাশি বিভিন্নভাবে অসহযোগ আন্দোলন চালু রেখেছে দেশটির নাগরিকরা। তেমনই একটি হলো বিদ্যুৎ বিল বয়কট। গত ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের পর থেকেই নাগরিকরা বিদ্যুৎ বিল দেয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। তাতে করে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এই খাত। ২৪ ঘণ্টার অধিকাংশ সময়ই থাকছে লোডশেডিং। আজ রোববার নিক্কেই এশিয়া এ তথ্য জানিয়েছে।
সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে মিয়ানমারের স্বাস্থ্য পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত দেশটিতে ঘন ঘন লোড শেডিং হওয়ায় চরম হুমকিতে পড়েছে সেখানকার জনস্বাস্থ্য পরিষেবা।
জাপানের অর্থনীতি বিষয়ক প্রভাবশালী গণমাধ্যম নিক্কেই এশিয়া ও অর্থনীতিবিদদের সংগঠন ইন্ডিপেনডেন্ট ইকোনমিস্ট ফর মিয়ানমারের (আইইএম) তথ্য মতে, গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশটির বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের রাজস্ব আয় ৯০ শতাংশের নিচে নেমে গেছে।
দেশটির সরকারি হাসপাতালগুলো লোড শেডিংয়ে পড়ার কারণে সেখানে প্রায় সার্বক্ষণিক জেনারেটর চালাতে হচ্ছে। কিন্তু, মিয়ানমারে জ্বালানি তেলের দামও ক্রমাগত বেড়ে যাচ্ছে।
সংবাদ প্রতিবেদন মতে, সেনাবাহিনী ক্ষমতা গ্রহণের পর সেখানকার বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় 'বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলো সচল রাখতে হিমশিম খাচ্ছে। বেসরকারি খাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনেও সরকার সহযোগিতা করতে পারছে না। বিদ্যুতের দাম ও সরবরাহও নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছে না।'
অভ্যুত্থানের কারণে বিদ্যুৎ খাতে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করা যায়নি। যেমন: ডিজিটাল মিটার বসানো, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের আগে সতর্কতা দেওয়া, বিদ্যুৎ সরবরাহ নির্বিঘ্ন করা, সংযোগ বাড়ানো ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে জোর দেওয়া ইত্যাদি
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দেওয়ার কারণে গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত চার হাজার ৫৮ জন সামরিক স্টাফকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের অধিকাংশই বিল সংগ্রহ ও কারিগরি সহযোগিতা দিতেন।
সেনাদের ক্ষমতা দখলের আগে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে কর্মী ছিলেন প্রায় ৫০ হাজার। এই চার হাজারের বেশি কর্মীকে বরখাস্ত করায় এর প্রভাব মন্ত্রণালয়ে পড়েছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতাসীন অং সাং সু চিকে হটিয়ে মিয়ানমারের ক্ষমতার দখল নেয় সেনাবাহিনী। এরপর থেকে দেশটির জনগণ বিক্ষোভ করে আসছে। নিরাপত্তা বাহিনীর বিক্ষোভ দমনের চেষ্টায় এখন পর্যন্ত হাজারেরও বেশি বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া হাজার হাজার মানুষ প্রাণভয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালিয়ে গেছে। সূত্র : নিক্কেই এশিয়া

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন