শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

৪ কোটি টাকার বেচাকেনা

রাজারহাটের চামড়া বাজার

বেনাপোল অফিস : | প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০২১, ১২:০১ এএম

যশোরে রাজারহাটের চামড়ার বাজারে ৪ কোটি টাকার চামড়া কেনাবেচা হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা বলছেন। তবে জেলা বাজার কর্মকর্তা বলছেন ৭০ লাখ টাকার চামড়া বিক্রি হয়েছে রাজারহাটে।
শনিবার রাজারহাটে চামড়া বেচাকেনা শুরু হয় সকাল ৮টা থেকে। তবে বৃষ্টি ও লকডাউন চামড়ার হাটে প্রভাব পড়েছে। লকডাউনের কারণে ঢাকার বড় বড় আড়তদাররা আসেননি। আর বৃষ্টির কারণে রাজারহাটে চামড়া আনতে পারেননি অনেক খুচরা বিক্রেতা। তারপরও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা অন্যান্য বছরের মতো হতাশ না।
ঈদের পর গত শনিবার ছিল দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চামড়ার বাজার রাজারহাটে প্রথমদিনের বেচাকেনা। যশোর জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন মুকুল জানান, শনিবারের হাটে ৩০ হাজার গরু এবং ৩৫ হাজার ছাগলের চামড়া আসে। যা নগদ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আনুমানিক ৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তবে, জেলা বাজার কর্মকর্তা সুজাত হোসেন খান জানান, ১২ হাজারের মত গরু ও একই পরিমাণ ছাগলের চামড়া ওঠে রাজারহাটে।
বাজার কর্মকর্তার দেয়া তথ্যানুযায়ী, গরুর প্রতি পিস ছোট এবং কাটাছেঁড়া চামড়া ২৫০ থেকে ৩শ’, মাঝারি চামড়া ৪শ’ থেকে ৪৫০ এবং বড় চামড়া ৮শ’ থেকে ৯শ’ টাকায় বিক্রি হয়েছে। একইভাবে ছাগলের প্রতি পিছ চামড়া ২০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হয়। সেই হিসেবে ২৪ হাজার চামড়া কেনাবেচায় আনুমানিক ৭০ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে বলে জানান জেলা বাজার কর্মকর্তা সুজাত হোসেন খান। কোনো কোনো বিক্রেতা বলেন, ছাগলের চামড়া সর্বনিম্ন পাঁচ টাকা এবং গরুর চামড়া ১শ’-১শ’২০ টাকায়ও বিক্রি হয়েছে। চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলাউদ্দিন মুকুল বলেন, রাজারহাটে প্রথমদিনের বাজারে গরু-ছাগল মিলে ৬৫ হাজার চামড়া বিক্রি হয়েছে। যাতে লেনদেন হয়েছে আনুমানিক চার কোটি টাকা। এসব চামড়া সম্পূর্ণ নগদ টাকায় বিক্রি হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি জানান, চামড়ার বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কারণে। তার দাবি, মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়া চেনে না। একইসাথে তারা চামড়া সংরক্ষণ করতে পারেন না। সময়মতো লবণ দেন না। ফলে, তাদের কেনা চামড়া নষ্ট হয়ে যায়। এ কারণে তারা ঠিকমতো দাম পান না। তিনি মৌসুমি ব্যবসায়ীদের চামড়ার ব্যবসা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান।
রাজারহাটে চামড়া নিয়ে আসা উজ্জ্বল নামে এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলেন, বাজার একেবারে খারাপ না। রফিউদ্দিন নামে আরেক ব্যবসায়ী জানান, লকডাউনের কারণে চামড়ার দাম কম ছিল। লকডাউন না থাকলে আরও বেশি দামে চামড়া বিক্রি হতো। কোরবানির পরপরই প্রশাসন ব্যাপকভাবে তৎপর ছিল, যাতে কোনোভাবেই রাজারহাট থেকে চামড়া পাচার না হয় ভারতে। সেদিকে নজর ছিল জেলা প্রশাসনেরও।
জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান জানান জেলা বাজার কর্মকর্তা জানান, লবণের সঙ্কট মোকাবেলায় ব্যবসায়ীরা যাতে সময়মতো লবণ পান সেদিকে কড়া দৃষ্টি দেয়া হয়েছে। পুলিশও ছিল ব্যাপক তৎপর। ফলে, চামড়া নিয়ে কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি ব্যবসায়ীদের।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন