বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

মাদারীপুরে শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতালে ভাঙচুর

স্টাফ রিপোটার, মাদারীপুর থেকে : | প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০২১, ১২:০১ এএম

মাদারীপুরে শিপন মাতুব্বর নামে এক শ্রমিকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গত রোববার সন্ধ্যায় জেলা সদর হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে নিহতের স্বজনরা। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই রিপন মাতুব্বরকে আটক করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ। নিহত শিপন সদর উপজেলার চরমুগরিয়া এলাকার আলী মাতুব্বরের ছেলে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত রোববার দুপুরে সদর উপজেলার খাগদীতে ইটবোঝাই একটি ট্রলি উল্টে গুরুতর আহত হয় নির্মাণ শ্রমিক শিপন। পরিবারের লোকজন তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে হাসপাতালের দোতলায় ভর্তি করা হয়। তার কিছু সময় পর শিপনের মৃত্যু হয়। এতে অক্সিজেন দিতে দেরি করার অভিযোগে হাসপাতালের দোতলায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায় নিহতের স্বজনরা। এসময় পুরুষ ওয়ার্ডের নার্সদের রুমের ভেতর ঢুকে টেবিল ভাঙচুর করা হয়। এছাড়াও হাসপাতালের জানালা, দুটি ইসিজি মেশিন, অক্সিজেন মেশিন ভাঙচুর করা হয়। এতে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া অন্য রোগীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে নিহতের বড় ভাইকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে সদর মডেল থানা পুলিশ। তবে দায়িত্বে অবহেলার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন চিকিৎসকরা। ভর্তি হওয়া রোগীরা বলেন, তাৎক্ষণিক ৭-৮ জন লোক এসে নার্সের রুমের ভেতর ঢোকার চেষ্টা করে। পরে দায়িত্বরত নার্সরা দরজা বন্ধ করে দেয়। একপর্যায়ে নিহতের স্বজনরা দরজা ভাঙচুর করে।
মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, শিপন নামের রোগী আহত অবস্থায় হাসপাতালে আসলে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু তার স্বজনরা ফরিদপুর নিতে বিলম্ব করায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। পরে নিহতের লোকজন হাসপাতালে ভাঙচুর চালায়। তার চিকিৎসার কোন ত্রুটি ছিলো না। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ সত্য নয়। মাদারীপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম মিঞা জানান, পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯-এর কলের মাধ্যমে হাসপাতালে ভাঙচুরের বিষয়টি জানতে পারি। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এসে নিহতের বড় ভাইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন