কুমিল্লার মুরাদনগরে ১১৫ বছর বয়সের সেই দুধ নেহের বেগমের বাড়িতে মঙ্গলবার দুপুরে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে হাজির হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশ। এ সময় তিনি ওই পরিবারটির খোঁজ-খবর নেন এবং যথাসম্ভব সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। ওই বৃদ্ধা মানবেতর জীবন যাপন করছেন সোমবার ফেসবুকে ভাইরাল হলে বিষয়টি তাঁর দৃষ্টিগোচর হয়।
জানা যায়, উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের পদুয়া গ্রামের হতদরিদ্র ১১৫ বছরের দুধনেহের বেগম তিন সন্তানের জননী। দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ। এরমধ্যে করোনার এ মহামারীতে অভাবের সংসারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন শতবর্ষী বৃদ্ধা দুধনেহের বেগম। আজ থেকে প্রায় ৫০ বছর আগে তার স্বামী মারা যান। ভিটেমাটি ছাড়া নেই কোন সম্ভল। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকেই অভাবের এ সংসারের হাল ধরেন দুধনেহের বেগম।
তার ছেলে আব্দুল হালিম বলেন, বাবার মৃত্যুর পর মা অন্যের বাড়িতে কাজ করে আমাকে ও দুই বোনকে বড় করে বিয়ে দিয়েছেন। বর্তমানে একটি জরাজীর্ণ ঘরের মধ্যে বসবাস করি। সামান্য বৃষ্টিতে ঘরের ভিতরে পানি পড়ে। নেই কোন নিজস্ব টিওবওয়েল ও টয়লেট। করোনা ভাইরাসের কারণে কাজে যেতে পারি না, এরমধ্যে আবার মা অসুস্থ। এখনতো খেয়েই বাঁচতে পারি না, আবার মায়ের চিকিৎসা করাব কিভাবে? মা ৩/৬ মাস পর পর যে বয়স্ক ভাতার টাকা পান, তা দিয়ে এক মাসের ওষুধই কেনা যায় না।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিষেক দাশ দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে ওই দরিদ্র পরিবারের বিষয়টি জানতে পারি। খোঁজ-খবর নিয়ে তার বাড়িতে গিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে কিছু খাদ্যসামগ্রী তাদের মাঝে তুলে দেই। তার প্রতি আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে। আগামীতে প্রশাসন থেকে উক্ত পরিবারের জন্য স্থায়ী ভাবে কি করা যায়, সেটা দেখব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন