শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বান্দরবানের ৩ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা টানা বৃষ্টিতে প্লাবিত

বান্দরবান থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ জুলাই, ২০২১, ২:৫১ পিএম

টানা বৃষ্টির কারণে বান্দরবানের লামা-আলীকদম উপজেলার প্রধান সড়কের বিভিন্ন স্থান তলিয়ে গেছে। সড়কের লাইনঝিরি, শিলেরতুয়া, সিবাতলী, দরদরাঝিরিসহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। বৃষ্টির পানিতে সড়কের পাশের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল ডুবে রয়েছে। গত মঙ্গলবার সকাল থেকে বৃষ্টিপাত এখনো অব্যাহত রয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, গত বছরগুলোর বর্ষা মৌসুমে প্রবল বর্ষণের ফলে পাহাড়ি ঢলের পানিতে বন্যা ও ব্যাপক হারে পাহাড় ধ্বসে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে বিধায় এ বছর যেন এর পূণরাবৃত্তি না ঘটতে পারে, সেজন্য লামা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে আগাম প্রস্তুতি। টানা বর্ষণে মাতামুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে পানিতে নিচু এলাকা প্লাবিত ও পাহাড় ধ্বসের আশঙ্কা দেখা দেওয়ায় মঙ্গলবার সকাল থেকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে মাইকিং এর মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণদের নিরাপদে সরে যেতে তাগাদা দিচ্ছে। পৌরসভা এলাকা. লামা সদর, গজালিয়া,
রূপসীপাড়া, সরই, আজিজ নগর, ফাঁসিয়াখালী ও ফাইতং ইউনিয়নে সাড়ে ৪ হাজার পরিবারের প্রায় ২০ হাজার মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে বসবাস করছে বলে জানান স্থানীয়রা।

জেলার লামা পৌরসভা এলাকার লাইনঝিরির বাসিন্দা মো.জসীম জানায়, প্রবল বর্ষণে লামা-আলীকদম সড়কের লাইনঝিরি ও শীলেরতুয়ার নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নৌকা যোগে জনসাধারণ সড়ক পার হচ্ছেন তার।

এদিকে বর্ষণের কারণে উপজেলার পাহাড়ি ঝিরি, খাল ও মাতামুহুরী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে দুর্গম পাহাড়ি এলাকার হাজার হাজার মানুষ পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে। নদীর পানিতে বৃদ্ধি পেয়ে লামা-আলীকদম সড়কের লাইনঝিরি ও শীলেরতুয়া এলাকা প্লাবিত হয়ে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। পাহাড় ধসে পৌরসভা এলাকার মধুঝিরি গ্রামের বাসিন্দা মো. শামীমের বসতঘর বিধস্তের পাশাপাশি রুপসীপাড়া সড়ক ও বগারঝিরিতে পাহাড় ধসে পড়ে সড়ক যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

লামা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা জামাল জানান, টানা বৃষ্টিতে লামা-আলীকদম সড়কসহ বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল পানিতে ডুবে গেছে। আরো বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

অন্যদিকে ভারী বর্ষণের ফলে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর, বাইশারী ও ঘুমধুমের নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়ে কৃষি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে কোন ধরনের হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। সদর বাজার সড়ক, বাইশারী ইউনিয়নের পশ্চিম বাইশারী, গুদাম পাড়া ও ধৈয়া বাপের মার্মা পাড়া পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে এবং বিভিন্ন এলাকার ধানক্ষেত ভেসে গেছে পাহাড়ী ঢলের পানিতে। এছাড়া পূর্ব বাইশারী এলাকায় ছকিনা নামের এক বিধবা নারীর বাড়ী ধ্বসে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী ঘুমধুমের তুমব্রু’র কোনারপাড়া এলাকায় পাহাড়ী ঢলের পানিতে ডুবে গেছে। ঢলের পানিতে তুমব্রু বাজারের কয়েকটি দোকানের মালামাল ক্ষতিসাধিত হয়।

তুমব্রু বাজারের ব্যবসায়ী জমির উদ্দিন জানান, পাহাড়ী ঢলে তুমব্রু বাজারের কয়েকটি দোকানে কোমর সমান পানি ডুকে গেছে, ফলে মালামাল নষ্ট হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ব্যবসায়ীদের।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন