বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নতুন প্রজন্মের সামনে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে: আইজিপি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ জুলাই, ২০২১, ৬:৩৪ পিএম | আপডেট : ৮:০৮ পিএম, ২৮ জুলাই, ২০২১

ফাইল ছবি


আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমাদের পূর্বসূরীরা যে দেশটিকে আমাদের জন্য উপহার দিয়েছেন, তাদের যে অনবদ্য আত্মত্যাগ, সে আত্মত্যাগের মর্যাদা ধরে রাখার অন্যতম উপায় হচ্ছে পরবর্তী প্রজন্মের সামনে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা। এটি একটি ঐতিহাসিক দায়, একটি ঐতিহাসিক কর্তব্য।

বুধবার (২৮ জুলাই) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে ভার্চুয়ালি নোয়াখালী জেলা পুলিশ নির্মিত মুক্তিযুদ্ধ ভাস্কর্য ‘নির্ভীক’, নবনির্মিত সুধারাম মডেল থানা, সোনাপুর পুলিশ ফাঁড়ি, পুলিশ লাইন্স নারী ব্যারাক ভবন উদ্বোধন এবং ‘মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ নোয়াখালী জেলা’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, দেশ ও মানুষের জন্য, স্বাধীনতার জন্য স্ত্রী ও সন্তানসহ স্বপরিবারে নোয়াখালী জেলার তৎকালীন পুলিশ সুপার আবদুল হাকিমের মহান আত্মত্যাগের কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন আইজিপি। মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী নোয়াখালী জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যের অবদানকেও সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন তিনি।
ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এ দেশের মানুষ যে দুর্নিবার আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন করেছিলেন আমাদের সেই অহংকারের জায়গাগুলোকে আরও সুসংহত করতে হবে। এক্ষেত্রে এ ধরনের পুস্তক, ভাস্কর্য হতে পারে অন্যতম নিয়ামক, যাতে আমরা কখনও ইতিহাস বিস্মৃত না হই। তিনি বলেন, এ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ পুলিশের যে অবদান, ভূমিকা রয়েছে তা দুটি কারণে ডকুমেন্টেড হওয়া দরকার। একটি হলো জাতির মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অংশ হিসেবে এবং বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর ইতিহাস, ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে।

আইজিপি আরও বলেন, পুলিশ বাহিনীর পাশাপাশি যে যেখানে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন, যেখানে যে বীরত্বগাথা রচিত হয়েছে তা তুলে আনতে হবে। বাঙালি জাতির উত্তরণের ইতিহাসে মুক্তিযুদ্ধের যে ভ‚মিকা রয়েছে তা ডকুমেন্টেড হতে হবে। একটি আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে এগুলোকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে ডকুমেন্টেড করতে হবে, যাতে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম এর মর্যাদা অনুভব করতে পারে, অহংকার করতে পারে, একটা মর্যাদাবান জাতি হিসেবে নিজেদের তৈরি করতে পারে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে সবাইকে সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানাই।

নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা কামাল, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি ও বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সভাপতি হাবিবুর রহমান, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান, চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ইকবাল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স প্রান্তে অতিরিক্ত আইজি ড. মো. মইনুর রহমান চৌধুরী, অতিরিক্ত আইজি এস এম রুহুল আমিন, অতিরিক্ত আইজি মো. মাজহারুল ইসলাম, এটিইউয়ের অতিরিক্ত আইজি মো. কামরুল আহসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরে আইজিপি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ভাস্কর্য ‘নির্ভীক’, নোয়াখালী জেলা পুলিশের নবনির্মিত সুধারাম মডেল থানা, সোনাপুর পুলিশ ফাঁড়ি, পুলিশ লাইন্স নারী ব্যারাক ভবন ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন। তিনি ‘মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ - নোয়াখালী জেলা’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন। বাংলাদেশ পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রকাশিত বইটি সম্পাদনা করেছেন মো. আলমগীর হোসেন, গবেষণায় ছিলেন এ কে এম গিয়াস উদ্দিন মাহমুদ, আবু নাছের মঞ্জু ও মো. এনায়েত করিম।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
A S M Sayem ২৯ জুলাই, ২০২১, ১২:১৬ এএম says : 0
গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষ করোনা মহামারীর শুরুর দিকে বিগত বছরের ৩১শে মে হতে টেকনোলজি ও কমার্শিয়াল ডিভিশনের ১৮০ জন দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মীকে তাদের স্থায়ী কাজ থেকে অপসারন করে কর্মহীন করে রাখে এবং স্থায়ী প্রকৃতির কাজ লাইসেন্স বিহীন অদক্ষ তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে করানো হচ্ছে, যার ফলশ্রুতিতে জিপি'র সাড়ে আট কোটি গ্রাহক উন্নত মানের টেলিকম ও ডিজিটাল সার্ভিস থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় হঠাৎ করে গত ২০ শে জুন'২০২১ গ্রামীনফোন কর্তৃপক্ষ ১৫৯ জন দক্ষ কর্মীকে চাকরি হতে ছাঁটাই করে। গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক এর মূল কারিগররা যারা কোম্পানির জন্মলগ্ন হতে শুরু করে বর্তমানে বৃহৎ মহীরুহে পরিণত করতে অসামান্য অবদান রেখেছে, তারা আজ কোম্পানি কতৃক অবৈধভাবে ছাঁটাই এর শিকার । গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক রক্ষনাবেক্ষনের দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে পারি, কোম্পানি নেটওয়ার্ক ও কাস্টমার সেবার মান উন্নয়নে বেশি মনোযোগী বা গুরুত্ব না দিয়ে বরং অল্প খরচে অধিক মুনাফা লাভের মানুষিকতার কারণে স্থায়ী দক্ষ ও অভিজ্ঞ কর্মী ছাঁটাই করে তৃতীয় পক্ষের অস্থায়ী ও অদক্ষ লোকবল দ্বারা কোনোমতে পরিচালনা করাতে দেশজুড়ে ভয়েস ও ইন্টারনেট স্পীডের বেহাল দশা । এই দুরাবস্থা চলতে থাকলে মোবাইল ইন্টারনেটের গতি ক্রমশ: মারাত্মকভাবে আরো অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে । ফলশ্রতিতে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্য ও দেশের জনগণ ব্যাপকভাবে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে । তাই দেশ ও দেশের জনগণের স্বার্থে সকল মিডিয়া মোবাইল অপারেটরদের দ্বারা শোষণের আসল চিত্র গুরুত্বের সাথে তুলে ধরবেন বলে আশা রাখি আর মোবাইল নেটওয়ার্কের গুণগত মান উন্নয়নে ছাঁটাইকৃত কর্মীদের পুনর্বহালের জোর দাবী জানাচ্ছি ।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন