শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

লকডাউনে গাড়ির সারি দীর্ঘ

কঠোর বিধিনিষেধের ষষ্ঠ দিনের রাজধানী ৪৯৭টি গাড়ির মালিক-চালকের বিরুদ্ধে মামলা, জরিমানা ১১ লাখ ৭৩ হাজার টাকা

খলিলুর রহমান | প্রকাশের সময় : ২৯ জুলাই, ২০২১, ১২:০০ এএম

কঠোর লকডাউন চলছে। কিন্তু রাস্তায় বের হলেই চোখে পড়ে ব্যক্তিগত গাড়ির সারি। গাড়িগুলোতে থাকা ব্যক্তিদের কেউ ডাক্তার, কেউ ব্যাংকের বড় কর্মকর্তা বা কোনো প্রতিষ্ঠানের জরুরি বিভাগের কর্মকর্তা। কেউবা যাচ্ছেন হাসপাতালে টিকা নিতে। চেকপোস্টে এমন তথ্য জানাচ্ছেন তারা। গতকাল সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর প্রতিটি সড়কেই এমন চিত্র দেখা গেছে।

জানা গেছে, করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধের ষষ্ঠ দিন ছিল গতকাল। যা আগামী ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে। এই সময় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হবে না এবং গণপরিবহন চলবে না জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওই প্রজ্ঞাপনে মোট ২৩টি নিষেধাজ্ঞার কথা জানানো হয়েছিল। কিন্তু বিধিনিষেধের দিন যত যাচ্ছে, রাস্তায় গাড়ির সংখ্যাও ততই বাড়তে শুরু করেছে। একই সাথে বেড়েছে মানুষের ভিড়ও। তবে গতকাল ঢাকা ডিএমপি পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত ও ট্রাফিক বিভাগ ৪৯৭টি গাড়ির মালিক-চালকের বিরুদ্ধে মামলা করে। আর জরিমানা করা হয় ১১ লাখ ৭৩ হাজার টাকা।

গতকাল রাজধানীর মিরপুর সড়ক এবং আমিনবাজার সেতু ঘুরে দেখা যায়, অনেক গাড়ি রাজধানীতে প্রবেশ করছে। বেশিরভাগই প্রাইভেটকার। এর বাইরে মোটরসাইকেল, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গাড়ি, পণ্যবাহী ট্রাকও প্রবেশ করছে। সরেজমিনে মিরপুর রোডের প্রত্যেকটি পুলিশ চেকপোস্টে কঠোর তল্লাশি করতে দেখা গেছে। এছাড়া রাজধানীর আমিনবাজার সেতুতে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালকদের উপস্থিতি ব্যাপকহারে লক্ষ করা গেছে। একই সঙ্গে সেতু দিয়ে রাজধানীতে শত শত মানুষ হেঁটে প্রবেশ করছে।
রাস্তায় দায়িত্বপালনকারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জানান, যেসব গাড়ি বের হচ্ছে তারা সবাই নানা ধরনের জরুরি প্রয়োজনের কথা জানাচ্ছেন। আর এই জরুরি প্রয়োজন জানান দিতে কেউ ব্যবহার করছেন প্রতিষ্ঠান লোগো, লিফলেট অথবা সাদা কাগজে প্রিন্ট করে গাড়িতে লাগাচ্ছেন। তবে যারা উপযুক্ত প্রমাণ দিতে পারছেন না, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়।

আমিনবাজার সেতু রাজধানীতে প্রবেশের অন্যতম একটি দ্বার। এই পথ দিয়ে কারা রাজধানীতে প্রবেশ করছেন জানতে চাইলে সেখানে কর্তব্যরত দারুসসালাম থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. হারুন-উর-রশিদ বলেন, আমরা যতক্ষণ এখানে দাঁড়িয়ে ডিউটি করছি ততক্ষণ যেটি দেখলাম টিকা নেয়া ও হাসপাতালের রোগীরাই এই পথে বেশি প্রবেশ করেন। এর বাইরে যাদের ঢাকায় বাসা নিয়ে থাকা সম্ভব না, একটু আশেপাশে হেমায়েতপুর বা আমিনবাজার থাকেন তারা অফিসে যাচ্ছেন। সরকার আমাদের যে নীতিমালাটা দিয়েছে, তার বাইরে আমরা কাউকে পেলে প্রসিকিউশনের মাধ্যমে জরিমানা আদায় করছি।

এদিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সামনে থাকা শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ চেকপোস্টে প্রত্যেকটি গাড়িকে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় এনে তারপর ছাড়া হয়। এ সময় সেখানে শতাধিক ব্যক্তিগত গাড়ির জটলাও চোখে পড়ে।
সেখানে দায়িত্বরত শেরেবাংলা নগর থানার এসআই জামিল হোসাইন বলেন, এখানে প্রত্যেকটি ব্যক্তিগত গাড়িতে থাকা মানুষ বিভিন্ন ধরনের কারণ দেখান। কেউ টিকা নিতে যাচ্ছেন, কেউ হাসপাতালে যাচ্ছেন, কেউ ডাক্তার, কেউ ব্যাংকার বলে জানান। অনেকে গাড়িতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লোগো লাগিয়েছেন। কেউ কেউ সাদা কাগজে প্রিন্ট করেও জরুরি বুঝানোর চেষ্টা করেন। অপ্রয়োজনে বের হওয়া যাদের শনাক্ত করতে পারছি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আমাদের লোকজন সীমিত। তারপরও যতটা সম্ভব চেষ্টা করছি।

অপরদিকে যাত্রাবাড়ীর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ছিল গাড়িতে সরগরম। গতকাল সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে বিপুল সংখ্যক প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, রিকশা, যাত্রীবাহী ভ্যান চলাচল করতে দেখা গেছে। এতদিন ধরে চোখে না পড়লেও গতকাল এ মহাসড়কে দেখা মিলছে বাসেরও।
যাত্রাবাড়ীর এ মহাসড়ক এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতাও ছিল ঢিলেঢালা। শনির আখড়া, রায়েরবাগসহ বিভিন্ন স্থানে থাকা চেকপোস্টগুলো সেভাবে সক্রিয় দেখা যায়নি। রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ডে রাইডারদের মোটরসাইকেল নিয়ে যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। এই বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে ছিলেন যাত্রাবাড়ী এলাকার একটি দোকানের বিক্রয়কর্মী জাবেদ মিয়া। তিনি বলেন, আমাদের পাইকারি মুদি দোকান। দোকান খোলা। প্রতিদিন অনেক কষ্ট করে এটুকু পথ যেতে হয়। ভ্যানে করে যাই, ৫০ টাকা ভাড়া নেয়। পথে পুলিশ আটকে দেয়ায় কয়েকবার নেমেও গেছি।

সরেজমিনে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত শনির আখড়া বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে বেশ কয়েকটি বাসও চলতে দেখা গেছে। জরুরি প্রয়োজনে খোলা থাকা অফিসের কর্মীদের যাতায়াতের জন্য বাসগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, গতকাল দুপুরে রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বরে র‌্যাব-৩ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু। এ সময় শাপলা চত্বর দিয়ে যাতায়াত করা সব গাড়ি ও মানুষকে আটকে তাদের বাইরে বের হওয়ার প্রকৃত কারণ জানার চেষ্টা করা হয়। যারা সন্তোষজনক কারণ দেখাতে পারেনি তাদের বিভিন্ন অঙ্কের টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া যাদের মুখে মাস্ক নেই তাদের বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করা হয় অভিযান থেকে।

অভিযানের বিষয়ে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন করা ছাড়া আমাদের হাতে আর কোনো উপায় নেই। বিধিনিষেধ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে আমরা গতকাল মতিঝিলে অভিযান পরিচালনা করছি। যারা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। এছাড়া যারা জরুরি কাজ ছাড়া বাইরে বের হয়েছেন তাদেরও বিভিন্ন অঙ্কের টাকা অর্থদন্ড দেয়া হয়। এছাড়া বিনামূল্যে অভিযান স্থল থেকে মাস্ক বিতরণ করা হয়।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের এডিসি ইফতেখায়রুল ইসলাম বলেন, গতকাল সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ডিএমপির ৮টি বিভাগের রমনা, লালবাগ, মতিঝিল, ওয়ারী, তেজগাঁও, মিরপুর, গুলশান ও উত্তরা এলাকায় সরকারি নিয়ম অমান্য করে বাইরে বের হওয়ায় ৫৬২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। সড়কে যানবাহন নিয়ে বের হওয়ায় ঢাকা ডিএমপি পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত ও ট্রাফিক বিভাগ ৪৯৭টি গাড়ির মালিক-চালকের বিরুদ্ধে মামলা করে। আর জরিমানা করা হয়েছে ১১ লাখ ৭৩ হাজার টাকা।

তিনি আরো বলেন, সরকার করোনা সংক্রমণ রোধে দুই সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ নিশ্চিতে বৃষ্টি উপেক্ষা করে ষষ্ঠ দিনেও রাজধানীজুড়ে সক্রিয় ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রাজধানীতে অকারণে ও নানা অজুহাতে ঘর থেকে বের হওয়ায় ও লকডাউনেও প্রতিষ্ঠান খোলা রাখায় ২০৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৬১ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
উল্লেখ্য, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে চলে যাওয়ায় গত কয়েক মাস ধরে বিধিনিষেধ আরোপ করে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে সরকার। ঈদুল আজহা সামনে রেখে আট দিনের জন্য শিথিল করা হয়েছিল বিধিনিষেধ। এরপর আবার গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ দিয়েছে সরকার। বিধিনিষেধের মধ্যে খাদ্য ও খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন/প্রক্রিয়াজাতকরণ মিল কারখানা, কোরবানির পশুর চামড়া পরিবহন, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং ওষুধ, অক্সিজেন ও কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য উৎপাদনকারী শিল্প-কারখানা ছাড়া বন্ধ সব ধরনের গণপরিবহন, সরকারি ও বেসরকারি অফিস এবং শিল্পকারখানা। বন্ধ রয়েছে দোকান ও শপিংমলও। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষের বাইরে বের হওয়াও নিষেধ।

রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহীতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আগের দিনের চেয়ে বেশি তৎপর দেখা গেলেও কঠোর লকডাউনের ষষ্ঠ দিনে সড়কে যানবাহন ও মানুষের চলাচল আগের দিনগুলোর চেয়ে বেড়েছে। দোকানি, ক্রেতা, পথচারী অনেকেরই মাস্ক মুখে থাকছে না।
গতকাল বুধবার সকালে রাজশাহী নগরীর সাহেববাজার, ল²ীপুর, সাগরপাড়া ও আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কেউ চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছেন, আবার কেউ কাঁচাবাবাজারে ঘোরাঘুরি করে চলে যাচ্ছেন। আগের দিনের তুলনায় এদিন কাঁচাবাজার, মাছ ও মুদি দোকানে লোকজনের চলাচল বেড়েছে। প্রধান সড়কে মানুষের সঙ্গে যানবাহনের সংখ্যাও বেশি।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু আসলাম বলেন, অধিকাংশই জরুরি দরকার ছাড়া বের হয়েছেন এবং জানতে চাইলে নানা অজুহাত দিচ্ছেন। তাই, তাদের জরিমানা করা হচ্ছে। অনেকেরই মাস্ক থুতনিতে, তাদেরকেও জরিমানা করা হয়েছে। তিনি বলেন, কঠোরতম লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশের পাশাপাশি রাজশাহীতে ১১ প্লাটুন সেনা, বিজিবি ও আনসার সদস্য কাজ করছে। এছাড়াও ২২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে রয়েছে। এর মধ্যে নগরীর চারটি ও উপজেলা পর্যায়ে ১৮টি।
রাজশাহী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ কাউছার হামিদ মঙ্গলবার জানান, রাজশাহীতে লকডাউনের পঞ্চম দিনে মঙ্গলবার লকডাউনের বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ৭১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ সময়ে জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৪৫ হাজার ৫০ টাকা। আর স্বাস্থ্যবিধি না মানায় একজনকে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।

নোয়াখালী ব্যুরো জানায়, লকডাউন কার্যকর করতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ৯২হাজার ৪’শত টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের তথ্যমতে, লকডাউনের পঞ্চম দিনে সরকারি বিধি নিষেধ অমান্য করায় ১৮০জনকে ১৭০টি মামলায় ১ লাখ ৯২ হাজার ৪শ’ টাকা জরিমানা করেছে। জেলার গুরুত্বপূর্ণস্থানে পুলিশের চেক পোস্ট বসানো হয়েছে।

পটিয়া (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রনে পটিয়ায় বিধি নিষেধের অভিযান চালানোর সময় বাঁধার সম্মুখীন হয়েছে ইউএনও। আরিফুল আলম নামের এক বখাটে যুবক মাস্ক না পড়ে অহেতুক ঘুরাফেরা করা অবস্থায় তাকে আটক করে জরিমানা করতে চাইলে ইউএনও’র সঙ্গীয় ২/৩ জন কর্মচারীকে ধাক্কা দিয়ে নাজেহাল করে পালিয়ে যায় বখাটে আরিফ। এ সময় ইউএনওকে গালিগালাজও করা হয়। এ ঘটনায় আরিফের পিতা সাবেক হাইদগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুবুল আলম বাদলকে পুলিশ আটক করে। পরে ইউএনও এর কাছে মুচলেখা দিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান বাদল রক্ষা পায়।
ফরিদপুর জেলা সংবাদাতা জানান, কঠোর বিধিনিষেধ পালনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ফরিদপুর জেলা সদরে কোতয়ালী থানা ও অন্যান্য ০৮টি থানা এলাকায় মোট ১৬টি চেকপোস্ট ও ২৯ টি মোবাইল টিম গঠনের মাধ্যমে নিরলসভাবে ফরিদপুর জেলা পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।

সরকারি বিধি-নিষেধ অমান্য করায় গত ২৪ ঘন্টায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে কোতয়ালী থানা এলাকায় একজনকে ৫০০ টাকা টাকা, নগরকান্দা থানা এলাকায় ১৪ জনকে ৯৯০০ টাকা, ভাংগা থানা এলাকায় ১টি প্রতিষ্ঠানকে ৫০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১৫ জনকে পনের হাজার চারশত টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ভাঙ্গা থানা পুলিশ ৪টি মোটরসাইকেল ও ৬টি অটো গাড়ি, কোতয়ালী থানা পুলিশ কর্তৃক বিভিন্ন চেকপোস্টে ২৩ টি (অটো গাড়ি, মাহিন্দ্র, মোটর সাইকেল), ট্রাফিক পুলিশ ২৩টি (অটো গাড়ি ও মোটরসাইকেল), ডিবি পুলিশ কর্তৃক ১০ টি (অটো গাড়ি ও মোটরসাইকেল), আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ কর্তৃক ০১টি ব্যাটারি চালিত ভ্যান, সদরপুর থানা পুলিশ কর্তৃক ৩ টি মোটরসাইকেল আটক করা হয়েছে।

নীলফামারী সংবাদদাতা জানান, কঠোর লকডাউনে সরকারী বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে যাত্রী নিয়ে ঢাকা যাওয়ার সময় জাকির ট্রাভেলস নামে একটি নৈশকোচকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও থেকে ৪৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকা যাবার সময় নীলফামারীর সৈয়দপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় বাসটি আটক করা হয়।
এদিকে চলমান লকডাউনে সরকারের বিধি নিষেধ অমান্য করায় গত ২৪ ঘন্টায় নীলফামারী জেলায় ২১ টি মামলায় ২২ জনকে ৬১ হাজার ৫৫০ টাকা জরিমানা করা হয়। সেই সঙ্গে এক ব্যক্তিকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, স্বাস্থ্যবিধি না মানায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ২৬টি মামলায় ১৪ হাজার ৮শ টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট উত্তম কুমার দাশ।
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় লকডাউন অমান্য করায় এবং স্বাস্থ্য বিধি না মানায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৩৪ জনকে অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে। বুধবার বেলা ১১.৩৫টা থেকে শুরু করে দুপুর ২.৪৫টা পর্যন্ত পৌর শহরের এতিমখানা, নতুন বাজার এবং পাখিমাড়া বাজারে অভিযান চালিয়ে এ অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
মোঃ আকতার হোসেন মীর ২৯ জুলাই, ২০২১, ১:২৬ এএম says : 0
যাহারা নিজস্ব পরিবহন ব্যবহার করে তাহাদের করনায় ধরে না । করনা ধরে শুধু নিম্ন বিও ও মধ্য বিওদের । তাই তো তাহাদেরকে লকডাউন দিয়ে ঘরে বন্দি করে রাখা হয়েছে ।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন