টানা তিনদিনের ভারী বৃষ্টিপাতে বাগেরহাট জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে অর্ধলক্ষ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে অবিরাম বৃষ্টিতে পানিবন্দী মানুষেরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ভেসে গেছে চার সহস্রাধিক মৎস্য ঘের। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বর্ষাকালীন শাক সবজীর। রাতের আচমকা বাতাসে উপড়ে পড়েছে কয়েক শ’ গাছ। কাঁচা-পাকা সড়কও ডুবেছে বৃষ্টির পানিতে। কমপক্ষে ১০ হাজার ঘরবাড়ি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাট সদর উপজেলার খানজাহান পল্লী গোবরদিয়া, কাড়াপাড়া, খানপুর, নাগেরবাজার, সাহাপাড়া, হাড়িখালি-মাঝিডাঙ্গা আশ্রয়ন প্রকল্পসহ বাগেরহাট শহরের বেশ কয়েটি সড়কের উপর দেড় থেকে দুই ফুট পানি দেখা গেছে। উপযুক্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানিতেই এই অবস্থা বলে দাবি করেছেন অনেকে। শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, মোংলা, রামপাল ও কচুয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। সহসা এ পানি নামার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানালেন স্থানীয়রা।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, টানা বৃষ্টিতে শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ, মোংলা, রামপাল, বাগেরহাট সদর ও কচুয়ার বেশকিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় অর্ধলক্ষ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পানিবন্দী পরিবারগুলোর মাঝে শুকনো খাবার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ শুরু করেছি। তাদের সব ধরণের সহযোগিতা করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন