শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

আফগানিস্তানে উইঘুর যোদ্ধাদের প্রতিরোধে তালেবানদের প্রতিশ্রুতি চেয়েছে চীন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ জুলাই, ২০২১, ৭:০১ পিএম

চীন তিয়ানজিনে বৈঠককালে তালেবানদের কাছ থেকে আশ্বাস চেয়েছে যে, তারা আফগানিস্তানে ইসলামবাদী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী উইঘুর গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াই করবে। চীনের

শীর্ষস্থানীয় এক কূটনীতিক জানান যে, তার দেশ ‘সর্বদা আফগানিস্তানের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেছে, আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার নীতি মেনে চলা এবং পুরো আফগান জনগণের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ নীতি অনুসরণ করেছে।’

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্র ন্যাটো বাহিনীর সমালোচনা করেছিলেন যে, তারা কীভাবে এই সংঘাত এবং সেখান থেকে তাদের প্রত্যাহার উভয়ই পরিচালনা করেছিল। ওয়াং বলেন, ‘আফগানিস্তান আফগান জনগণের, এবং এর ভবিষ্যতটি তার নিজের লোকদের হাতে হওয়া উচিত।’ তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তান থেকে শীঘ্রই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো সেনা প্রত্যাহার আসলে আফগানিস্তানের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতির ব্যর্থতা চিহ্নিত করে। আফগান জনগণের জাতীয় স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ রয়েছে।’

তবে এই অস্থিরতার অবসান করতে ওয়াং আফগানিস্তানের ইসলামিক আমিরাত হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচিত তালেবানের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘দেশ ও জাতির স্বার্থকে প্রথমে রেখে, শান্তি আলোচনার ব্যানার ধরে রেখে, শান্তির লক্ষ্য নির্ধারণ করে, একটি ইতিবাচক চিত্র তৈরি করুন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি অনুসরণ করুন।’ তিনি বলেন, আফগানিস্তানের সকল দল ও জাতিগত গোষ্ঠীকে এক ও ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত, 'আফগান-নেতৃত্বাধীন ও আফগান-মালিকানাধীন' নীতিটি সত্যই বাস্তবায়ন করা উচিত, শান্তি ও পুনর্মিলন প্রক্রিয়াতে প্রাথমিক ভিত্তিক ফলাফলের জন্য চাপ দেয়া উচিত এবং স্বতন্ত্রভাবে একটি বিস্তৃত ও অন্তর্ভুক্ত রাজনৈতিক কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা উচিত যা উপযুক্ত আফগানিস্তানের জাতীয় বাস্তবতা।’

হংকং স্থিত চীনা সংবাদমাধ্যম ‘সাউথ চাইনা মর্নিং পোস্ট’ সূত্রে খবর, বুধবার উত্তর চীনের তিয়ানজিন শহরে তালেবানের প্রধান মধ্যস্থতাকারী আবদুল ঘানি বারাদার ও মুখপাত্র সুহেল শাহিনের নেতৃত্বে আসা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন না ওয়াং ই। বলে রাখা ভাল, তালেবানের রাজনৈতিক শাখার প্রধান আবদুল ঘানি বারাদার আমেরিকার সঙ্গে আলোচনায় মুখ্য ভূমিকা রেখেছিলেন। সূত্রের খবর, আফগানিস্তানে তালেবানের উত্থানে উইঘুর বিচ্ছিন্নতাবাদীদের শক্তিবৃদ্ধির আশঙ্কা করছে বেইজিং। শি জিনপিং প্রশাসনের আশঙ্কা, চীনের শিনজিয়াং প্রদেশে পৃথক উইঘুর রাষ্ট্র গঠনের লড়াইয়ে ইস্ট তুর্কিস্তান ইসলামিক মুভমেন্ট (ইটিআইএম) গোষ্ঠীটিকে মদত দিতে পারে তালেবানের একাংশ। তাই উইঘুরদের আশ্রয় ও প্রশিক্ষণ দেয়া নিয়ে আপত্তির কথা তালিবানের কাছে স্পষ্ট করেছে চীন। গত জুন মাসেও পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে তালেবানকে রাজনীতির মুলস্রোতে ফিরিয়ে আনতে যথাসাধ্য চেষ্টা করার কথা ঘোষণা করে চীন। সূত্র : নিউজউইক।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
md mia ২৯ জুলাই, ২০২১, ৮:০৩ পিএম says : 0
Alhamdulillah
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন