গোপালগঞ্জের আড়াইশ’ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের এমআরআই, সিটি স্ক্যান ও ডিজিটাল এক্স- রে মেশিন অকেজো হওয়ায় বিচার বিভাগীয় অনুসন্ধানের দাবিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়েছে। নোটিশে হাসপাতালটির জন্য ৩৮ কোটি টাকার অকেজো মেশিন সচল করারও আর্জি জানানো হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি), স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকৌশলী, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ও গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপালসহ সংশ্লিষ্টদের নোটিশের ‘প্রাপক’ করা হয়েছে। একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন যুক্ত করে অ্যাডভোকেট মো. আনিচুর রহমান ও অ্যাডভোকেট চঞ্চল কুমার বিশ্বাস গত বুধবার এ নোটিশ দেন।
গত ৭ জুলাই একটি জাতীয় দৈনিকে ‘গোপালগঞ্জে ৩৮ কোটি টাকার মেশিন অকেজো’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি উদ্ধৃত করে নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ২০১৩ সালে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের জন্য অন্তত ১০ কোটি ৬৬ লাখ ৬৭ হাজার টাকা ব্যয়ে সিটি স্ক্যান মেশিন ও ২০১৪ সালে ১০ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন কেনা হয়। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সিটি স্ক্যান মেশিন ও সফটওয়্যার নষ্ট হওয়ার কারণে এক্স-রে মেশিন ৬ মাস ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। এমআরআই, সিটি স্ক্যান ও ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন দীর্ঘদিন ধরে অকেজো থাকায় রোগীরা স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই ১৫ দিনের মধ্যে যন্ত্রগুলো সচল করার অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে এসব মেশিন কেনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করতে বিচার বিভাগীয় অনুসন্ধান করারও অনুরোধ জানানো হয়। অন্যথায় উচ্চ আদালতে আইনগত প্রতিকার চাওয়া হবে মর্মে হুঁশিয়ারি দেয়া হয় নোটিশে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন