কঠোর লকডাউনের ৮ম দিনেও মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের উভয়পাড়ে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ রয়েছে।
আজ শুক্রবার বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরিতে যাত্রী ও ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপার হতে দেখা গেছে। করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর লকডাউনকে উপেক্ষা করে প্রতিদিনের মতো আজও রাজধানী ঢাকায় ছুটছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের হাজার হাজার কর্মজীবী মানুষ। বাংলাবাজার ঘাট থেকে আসা ফেরিগুলোতে পারাপার হওয়া যাত্রীদের গাদাগাদির মাঝে মাস্ক ব্যাবহার, স্বাস্থ্যবিধি কিংবা সামাজিক দূরত্ব মানার কোন আগ্রহই দেখা যায়নি।
এদিকে বাংলাবাজার ঘাট হয়ে দক্ষিণবঙ্গ থেকে ঢাকাগামী যাত্রীর তুলুনায় ঢাকা থেকে আসা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী যাত্রী ও যানবাহনের চাপ কিছুটা কম লক্ষ্যকরা গেছে। যাত্রীরা নদী পাড় হয়ে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ব্যাটারি চালিত আটোরিক্সা,সিএনজি, মটরসাইকেলসহ বিভিন্ন ছোট ছোট যানবাহনে করে ভেঙ্গে ভেঙ্গে গন্তব্যে যাচ্ছে। এতে যাত্রীদের গুণতে হচ্ছে ৩/৪ গুন ভাড়া। সড়কে পরতে হচ্ছে ভোগান্তিতে। এতে বিভিন্ন কারণ দেখাচ্ছেন যাত্রীরা। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে পদ্মায় প্রবল বাতাস, প্রচুর ঢেউয়ে বৈরী আবহাওয়ার কারণে এ নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। পরে বিকেল ৩টার দিকে আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে পুনরায় ফেরি চালু হয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের সহকারি ব্যবস্থাপক (বানিজ্য) মো. মাহবুবুর রহমান জানান, শিমুলিয়া ঘাটে সকাল থেকেই বাংলাবাজার ঘাট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকামুখী কর্মজীবী মানুষের ভিড় রয়েছে। এ নৌপথে ভোর থেকে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে ৯টি ফেরি চলাচল করছে।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ মো. জাকির হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে জানান,ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকায় শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রী ও যানবাহন ও পন্যবাহী গাড়ির চাপ নেই। ঘাটে প্রায় অর্ধশতাধিক যানবাহন পন্যবাহী গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে বাংলাবাজার ঘাট থেকে আসা ফেরি গুলোতে যাত্রীর চাপ রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন