কুয়েতে বাংলাদেশের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলসহ মানিলন্ডারিং মামলায় অভিযুক্তদের বিচার ৫ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। স্থানীয় দৈনিক আল কাবাস পত্রিকায় এই খবর প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফৌজদারি আদালত মানিল-ারিং মামলাটি আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেছে। এ মামলায় কুয়েত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি মাজেন আল-জাররাহ ও নওয়াফ আল-শালাহী অভিযুক্ত। দৈনিক আরব টাইমস এর খবরে পাপুলের মামলার আপিল প্রত্যাখ্যান হতে পারে কুয়েত আদালতে এমনটাই বলা হয়েছে। লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাবেক এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের মামলার ‘পয়েন্ট অব ভিউ’ তৈরি সম্পন্ন করেছেন কুয়েতের আদালত। আদালতের প্রসিকিউশন প্যানেলের ওই ‘পয়েন্ট অব ভিউ’তে বিবাদীদের আপিল প্রত্যাখ্যানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে একটি শুনানি অনুষ্ঠিত হতে পারে।
ঘুষ ও ভিসা বাণিজ্যের দায়ে প্রথমে চার বছরের সশ্রম কারাদ- হলে এর বিপরীতে আপিল করেন কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল। কুয়েতের আদালত অর্থদ-সহ সাত বছরের সশ্রম কারাদ- দেন। পাপুলের সহযোগী মুহাম্মদ রশিদ নামে একজনকে তিন বছরের কারাদ-ে দ-িত করা হয়। এছাড়া কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরখাস্ত হওয়া দু’জন কর্মকর্তার সশ্রম কারাদ- ও জরিমানা হয়েছে। পাপুলকে কুয়েতের পুলিশ আটক করেছে এমন খবর যখন দেশটির গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় তখন পাপুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম, যিনি নিজেও একজন সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি, তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন- কুয়েতের সরকারি দফতর ও সিআইডি তাকে আলোচনার জন্য ডেকে নিয়েছে।
গত বছরের ৬ জুন রাতে কুয়েতের মুশরিফ এলাকায় বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয় পাপুলকে। প্রথমে পাপুলের হাতে পাচারের শিকার পাঁচ বাংলাদেশির অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে মানবপাচার, অর্থপাচার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের শোষণের অভিযোগ আনে কুয়েতি প্রসিকিউশন। ১৭ দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে এমপি পাপুলের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত শুরু হলে সে সময় দূতাবাস থেকে সাবেক রাষ্ট্রদূত এসএম আবুল কালাম ঢাকায় চিঠি পাঠিয়ে জানান, পাপুলের বিষয়ে অভিযোগ সত্য নয়। কুয়েতির গণমাধ্যমে সঠিক তথ্য দেয়া হয়নি। পাপুলের সঙ্গে কুয়েতে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এসএম আবুল কালামের সংশ্লিষ্টতার খবর প্রকাশ করতে গিয়ে কয়েকজন সাংবাদিককে বিপদের মুখে পড়তে হয়। কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল এখন কুয়েতের কেন্দ্রীয় কারাগারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন