সোমবার , ০২ অক্টোবর ২০২৩, ১৭ আশ্বিন ১৪৩০, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ভোলা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে জনবল সংকটে চালু হচ্ছে না আইসিইউ বেড

ভোলা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩১ জুলাই, ২০২১, ২:২২ পিএম | আপডেট : ২:৫০ পিএম, ৩১ জুলাই, ২০২১

ভোলার ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসক-নার্স সংকটে চালু হচ্ছে না ৬টি আইসিইউ বেড। এতে গত চার মাস ধরে অব্যবহৃত পড়ে আছে আইসিইউ বেডগুলো। কবে নাগাত এগুলো চালু হবে তা নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। এতে জরুরি করোনা রোগীদের নিয়ে করোনা ইউনিটে চরম আতংকের মধ্যে দিন কাটাটে হচ্ছে রোগীর স্বজনদের।
সুত্র জানিয়েছে,  করোনা রোগীদের চিকিৎসায় সেবা নিশ্চিতে ভোলার ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে এ বছরের এপ্রিল মাসে ৩টি এবং  জুলাই মাসে আরও ৩টিসহ মোট ৬টি আইসিইউ বেড সরবরাহ করা হয়। এছাড়াও হাসপাতালে ৫টি ভেন্টিলেটর, ৭টি অক্সিজেন কনসেনটেটর ও ৬টি হাইফ্লু ন্যাজাল ক্যানুলা সরবরাহ করা হয়। চালু রয়েছে সেন্টাল অক্সিজেন সার্ভিস। কিন্তু জনবলেল অভাবে চালু হয়নি আইসিইউ বেডগুলো। আইসিইউ বেড চালু করতে প্রয়োজনীয় ধারনা তৈরী করতে ৩ জন নার্স প্রশিক্ষণ নিলেও প্রয়াজনীয় জনবল এবং  সরঞ্জাম সংকটে আইসিইউ বেড আজও চালু হয়নি।
এদিকে হঠাৎ  ভোলায় করোনা সংক্রমন বাড়ছে। সংক্রমনের হার গড়ে ৭০% শতাংশের উপরে।  প্রতিদিনই কোন কোনভাবে জরুরি করোনা রোগীদের নিয়ে চরম বিপাকে পড়ছেন রোগীর স্বজনরা। জরুরি রোগীদের জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হলেও তাদের নিয়ে আতংক-উৎকন্ঠার মধ্যে থাকতে হচ্ছে তাদের।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, রোগীরা গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়লে এবং রোগীদের আইসিইউ বেডে হস্তান্তরের প্রয়াজন হলে কোন উপায় থাকেনা। তখন রোগীর স্বজনদের বাধ্য হয়েই রোগীদের বরিশাল বা ঢাকায় নিয়ে যেতে হয়। এতে রোগী নিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হয়। তাই দ্রুত আইসিইউ বেড চালুর দাবী তাদের।
এ ব্যাপারে ভোলার সিভিল সার্জন ডা: কেএম শফিকুজ্জামান বলেন, জনবল এবং সরঞ্জাম সংকটের কারনে আইসিইউ বেড চালু করা সম্ভব হয়নি। তবে আমরা দ্রুত আইসিআই বেড চালুর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।  জনবল এবং সরঞ্জাম তালিকা তৈরীর জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। জনবল বাড়ানোর ব্যাপারেও আমারা বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানাবো। আশা করা যাচ্ছে খুব দ্রুত আইসিইউ বেড চালুর করা সম্ভব হবে।
প্রসঙ্গত, ভোলা গত ১৪ মাসে এ পর্যন্ত  জেলায় সর্বমোট ৩ হাজার ১১৩ জন করেনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে সুস্থ্য ২ হাজার ৩৪০ জন। বর্তমানে আক্রান্ত আছে এক হাজার ১৪২জন। করেনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩১ জন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন