শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

টিকাদানে পিছিয়ে গেছে বাংলাদেশ

‘টাস্কফোর্স অন কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনস’ প্রতিবেদন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ আগস্ট, ২০২১, ১২:০০ এএম

গণটিকাদান কার্যক্রমে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা দেশসমূহের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ। অথচ ঘনবসতিপূর্ণ এই দেশে টিকার জন্য হাহাকার চলছে। আইএমএফ, ওয়ার্ল্ডব্যাংক, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত সংস্থা ‘টাস্কফোর্স অন কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনস’ এর ওয়েবসাইটে গত শুক্রবার এই তথ্য জানানো হয়েছে।

টাস্কফোর্স অন কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনস এর তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে গড়ে প্রতি সপ্তাহে প্রতি ১০০ জন মানুষের মধ্যে করোনা টিকার ডোজ নিচ্ছেন শূন্য দশমিক ১১ সংখ্যক মানুষ। অথচ ভারতে এই হার শূন্য দশমিক ৩১, পাকিস্তানে শূন্য দশমিক ১৯, নেপালে শূন্য দশমিক ৩৩ এবং শ্রীলঙ্কায় ১ দশমিক ৬৩।

গড়ে প্রতি সপ্তাহে প্রতি ১০০ জন মানুষের মধ্যে করোনা টিকার ডোজ নেওয়ার এই হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে থাকা দেশগুে লা হলো আফগানিস্তান, ভুটান ও মালদ্বীপ। আফগানিস্তানে এই হার শূন্য দশমিক ০৫, ভুটানে শূন্য দশমিক ০৪ এবং মালদ্বীপে শূন্য দশমিক ০৮।

টাস্কফোর্সের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১৬ কোটি ৪০ লাখ ৭০ হাজার। দেশটিতে যে গতিতে বর্তমানে টিকাদান চলছে, তা অব্যাহত থাকলে ২০২১ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ মানুষকে এবং ২০২২ সালের মাঝামাঝি ৬০ শতাংশ মানুষকে করোনা টিকার আওতায় আনার যে লক্ষ্য বাংলাদেশ নিয়েছিল তা কখনওই পূরণ হওয়া সম্ভব নয়।

২০২১ সাল শেষ হওয়ার আগেই দেশের ৪০ ভাগ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে হলে সাপ্তাহিক টিকাদানের হার শূন্য দশমিক ৪৯- এ উন্নীত করতে হবে বলে জানিয়েছে টাস্কফোর্স। অন্যদিকে ২০২২ সালের মাঝামাঝি নাগাদ দেশের ৬০ শতাংশ জনগণকে টিকার আওতায় আনতে হলে সাপ্তাহিক টিকাদানের হার উন্নীত করতে হবে শূন্য দশমিক ৩৫- এ।

টাস্কফোর্স অন কোভিড ১৯ ভ্যাকসিনস এর ওয়েবাসাইটে আরও বলা হয়েছে, ২০২১ সালে মধ্যে ৪০ শতাংশ জনগণকে টিকার আওতায় আনতে হলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৩ কোটি ১০ লাখ ৮০ হাজার করোনা টিকার ডোজ এবং ২০২২ সালের মাঝমাঝি সময়ের মধ্যে ৬০ শতাংশ জনগণকে টিকা দিতে হলে প্রয়োজন ১৯ কোটি ৭০ লাখ ৬ হাজার ডোজ।

চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু করেছে বাংলাদেশ। টাস্কফোর্সের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, কর্মসূচির জন্য এ পর্যন্ত মোট ১৫ কোটি ৮০ লাখ ১০ হাজার ডোজ টিকা কেনার চুক্তি করেছে দেশটি এবং সেসব চুক্তির অধীনে পেয়েছে এখন পর্যন্ত পেয়েছে মোট ২ কোটি ৫০ লাখ ৮০ হাজার ডোজ টিকা।

বাংলাদেশ সরকার দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকাদানের পরিকল্পনা নিয়েছে। কিন্তু সরকারি হিসেব অনুযায়ী জুলাইয়ের ২৫ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশে ৭০ লাখ ৫৬ হাজার মানুষ করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। আর টিকার ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন ৪০ লাখ ৩০ হাজার মানুষ।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে টিকার ডোজ ক্রয় সংক্রান্ত যেসব চুক্তি হয়েছে, তাতে আশা করা হচ্ছে চলতি আগস্টে বাংলাদেশে মোট ১ কোটি ২০ লাখ ৯০ হাজার ডোজ টিকার চালান পৌঁছাবে।

টাস্কফোর্সের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে যে গতিতে টিকাদান চলছে, তা অব্যাহত থাকলে চলতি বছরের শেষে দেশের মোট জনসংখ্যার ১৯ দশমিক ৬৪ শতাংশকে টিকার আওতায় আনতে সক্ষম হবে। ##

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (8)
Samim Hasan Monser ১ আগস্ট, ২০২১, ৪:৫৫ এএম says : 0
কিছু কিছু ছাগলতো বলে বাংলাদেশ টিকাদানে বিশ্ব রেকর্ড করছে
Total Reply(0)
Engr Sowqat Chowdhury ১ আগস্ট, ২০২১, ৪:৫৫ এএম says : 0
যে দেশে শাহিদ করিমের মতন লোক বসবাস করে সে দেশে এর ব্যতিক্রম হওয়া চিন্তার অতীত
Total Reply(0)
Nightbird Js ১ আগস্ট, ২০২১, ৪:৫৬ এএম says : 0
ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি আমরা শুধু পিছিয়ে আছি পিছিয়ে আছি,,তখন থেকেই বাহিরের দেশ গুলোর সব কিছু নিয়ে ঘাটা ঘাটি করতাম আর তখন থেকেই বুজি যে আমরা রাশিয়া,ইউরোপ আমেরিকার চায়না এসব দেশ গুলোর চেয়ে ৫০-১০০বছরে পিছিয়ে আছি,বিশেষ করে ওদের প্রযুক্তির দিক থেকে,যা আমরা কেয়ামত কালেও থাকবো,,ওদের এখন যে অবস্থান তা যে সময়ে আমরা পৌছাবো তখন ওরা আমাদের চেয়ে ১০০গুনে এগিয়ে থাকবে,,,১০০বছরে সবে গাড়ির বডি তৈরি শুরু,আর ওরা ১০০বছর আগেই বিমান তৈরি করেছে,তার পরে সুপার বিমান সুপার যুদ্ধ বিমান কত কম্পিউটার কত কি,যা আমরা আরও ২০-৫০বছর লাগবে,হয়তো বডিটা আগে পারবো বানাতে।অতএব এই পিছিয়ে আছি আর শুনতে ভাল লাগেনা।
Total Reply(0)
মোঃশহিদুল ইসলাম চৌধুরী ১ আগস্ট, ২০২১, ৪:৫৬ এএম says : 0
ভালো কিছু পেতে হলে সময় তো একটু দিতেই হবে বাণীতে অপদার্থ দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ
Total Reply(0)
Azizur Rahman ১ আগস্ট, ২০২১, ৪:৫৬ এএম says : 0
কোনো সমস্যা নাই। আমরা পিছনের দিক দিয়ে ফার্স্ট হবো। wifi connection এর দিক দিয়ে আমরা যেমন পিছনের দিক দিয়ে তৃতীয় তেমনি এদিক দিয়েও আমরা এগিয়ে থাকব না আশা করি।
Total Reply(0)
Mohammad Sohel Rana ১ আগস্ট, ২০২১, ৪:৫৬ এএম says : 0
কেনো টিকা উদ্ধোদনের আগেই নাকী তারা বুকিং দিয়ে ছিলেন,, তাহলে এতো পিছিয়ে কেনো?
Total Reply(0)
Ahasan Nobi ১ আগস্ট, ২০২১, ৪:৫৭ এএম says : 0
এটান খাঁটি গু-জব! এশিয়া কেন,বাংলাদেশ ইউরোপের চেয়েও এগিয়ে। একথা আমরা শুনে-শুনে অভ্যস্ত। এখন এরা বলে পিছিয়ে।
Total Reply(0)
ash ১ আগস্ট, ২০২১, ৫:৪৯ এএম says : 0
OPODARTHO OLOSHER DOLLLL. JEKHANE PAKISTANE 1 DINE 9 LAKH MANUSHKE TIKA DAY , SHEKHANE BANGLADESH E KOYJON KE TIKA DAY???
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন