শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কাজে যাওয়ার জন্য ভোলার বিভিন্ন ঘাটে হাজার হাজার মানুষের ভিড়, বালাই নেই স্বাস্থ্যবিধির

ভোলা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ আগস্ট, ২০২১, ১১:১৮ এএম

১৪ দিনের লকডাউনে দেশের সকল সরকারী বেসরকারি কল কারখানা বন্ধ ঘোষণায় করেছে সরকার।
কর্মস্থল বন্ধের কথা শুনে নিজ নিজ বাড়ীতে এসে পরিবারের সদস্যদের সাথে ঈদ উদযাপন করেছেন কর্মকতা কর্মচারীরা।
কিন্তু গতকাল হঠাৎ ঘোষনা হয় রবিবার থেকে সকল শিল্প কল কারখানা খোলা হবে, এমন ঘোষণার পর বিপাকে পড়েছে দক্ষিণাঞ্চলের হাজার হাজার শ্রমিক।অবশেষে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দ্বীপ জেলা ভোলা থেকে ঢাকা, চট্রগ্রাম সহ বিভিন্নস্থানে যাওয়ার বর্তমান গুরুত্বপূর্ণ পথ হলো ইলিশা ফেরিঘাট সহ ভোলার বিভিন্ন ঘাটে হাজার হাজার যাত্রীরা ভির। বালাই নেই স্বাস্থবিধির। মানা হচ্চছে না স্বাস্থবিধি। প্রশাসনের লোকজনও হিমশিম খাচ্ছে স্বাস্থবিধি ও সরকারি বিধিনিষেধ প্রতিপালনে। শিল্প কারখানায় হঠাৎ করে কাজে যোগদানের ঘোষনায় শ্রমিকরা পরেছে অনেক অসুবিধায়। এছাড়াও অল্প সময়ের জন্য লঞ্চ বা গন পরিবহন ছাড়ার ঘোষনায় যাত্রীরা পরেছে আরো বিপাকে। রবিবার তারা সকাল সকাল লঞ্চে,ফেরীতে,অটো,টেম্পু,বোরাক,ভারাটিয়া হোন্ডা কয়েক গুন ভাড়া বেশী দিয়ে যাওয়ার জন্য ভির করছে হাজার হাজার মানুষ। রাকিব নামে এক যাত্রী বলেন লালমোহন থেকে ভোলা ইলিশা ঘাটে বাসে ভাড়া হল ১৪০ টাকা কিন্তু আজ ১০০০ হাজার টাকা করে ১৮ জনে ১৮০০০ হাজার টাকা দিয়ে মাইক্রো ভাড়া করে এসেছি। কামাল নামে এক যাত্রী বলেন সরকারের তাল ঠিক নাই এক সময় এক কথা বলে, সকালে বলে ছুটি দুপুরে বলে লাকডাউন বন্ধ, কি করবে দিশা পায় না।রবিবার ভোলা জেলার চরফ্যাশন,লালমোহন,বোরহানউদ্দিন, দৌলতখান, ভোলা সদর সরঘাটেও দেখা গেছে প্রচুর যাত্রীরা চাপ।
শুক্রবার ঘোষণার পর থেকেই ফেরিঘাটে যাত্রীদের ভির চোখে পড়ার মত ছিলো।
গত শনিবারও ভোর থেকে হাজার হাজার যাত্রী ঘাটে এসে ভীর করলে কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ, ইলিশা ফাঁড়ির পুলিশ ঘাটে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার চেষ্টা করেও মানুষের চাপে তারা ব্যর্থ হয়।
অবশেষে গাদাগাদি করে গাড়ী ছাড়া শুধু যাত্রী নিয়েই সকাল আনুমানিক ১০ টার দিকে ইলিশাঘাট থেকে কৃষাণী নামের একটি ফেরি ছেড়ে যায়।
অন্যদিকে উত্তাল মেঘনায় ফেরি যাত্রীদের জন্য যতটা নিরাপদ তার চেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ট্রলার স্পিডবোঢ, ঘাটের একটি চক্র টাকার বিনিময়ে প্রশাসন কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যাত্রী পারাপার করছে, যে কোন মুহুত্বে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে অবৈধ ট্রলার স্পিডবোঢ এর বিরুদ্ধে তারা জিরোট্রলারেন্সে রয়েছেন।
ইলিশা ফাঁড়ির ইনচার্জ আনিসুর রহমান জানান, লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে আমরা শতভাগ চেষ্টা করেছি কিন্তু যাত্রীদের চাপে সম্ভব হচ্ছে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন