বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে

বেনাপোল অফিস | প্রকাশের সময় : ১ আগস্ট, ২০২১, ৪:২০ পিএম

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বেনাপোল কাস্টমস হাউসের জন্য চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
রোববার সকালে বেনাপোল কাস্টমস হাউসের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাস্টমস অতিরিক্ত কমিশনার ড. নেয়ামুল ইসলাম।
এদিকে এর আগের ২০২০-২১ অর্থবছরে বেনাপোল বন্দরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হাজার ২৪৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা। অর্থবছর শেষে আদায় হয়েছে ৪ হাজার ১৪৩ কোটি টাকা। বছরটিতে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ঘাটতি ছিল ২ হাজার ৫৭ কোটি টাকা কম হলেও। রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি ছিল ৫৭% শতাংশ যা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।
এছাড়া ২০১৯-২০ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ঘাটতি ছিল ৩ হাজার ৩৯২ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ঘাটতি ১১৪৫ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ তে ঘাটতি ১৭৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। ২০১৬-১৭ তে বেশি আদায় হয়েছিল ৪৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ঘাটতি ২০৩ কোটি টাকা।
ব্যাবসায়ীরা জানান, চলতি বছরে করোনা মহামারির কারনে এত বড় অংকের লক্ষ্যমাত্রা আদায় না হওয়ার সম্ভবনা বেশি। তবে রাজস্ব আয় বাড়াতে হলে বাণিজ্য সম্প্রসারণে বন্দরের প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন করতে হবে। তা না হলে কখনো এত বড় অংকের রাজস্ব আদায় সম্ভব হবে না।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, চলতি অর্থবছরে এত বড় অংকের রাজস্ব আদায় কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। কারণ একদিকে করোনা পরিস্থিতি ও অন্যদিকে সুষ্ঠুভাবে বাণিজ্য সম্পাদনে বন্দরে অবকাঠামো উন্নয়ন না হওয়ায় ক্ষোভ রয়েছে ব্যবসায়ীদের। ভারতীয় ব্যবসায়ীরাও বেনাপোল বন্দরের অব্যবস্থাপনা নিয়ে অনেকবার বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে বাণিজ্য বন্ধ করেছেন। তবে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হলে এ বন্দর থেকে লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ রাজস্ব আয় কাস্টমসের পক্ষে সম্ভব।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার মো: অজিজুর রহমান জানান, আমদানি বাণিজ্যের ক্ষত্রে বন্দরে পর্যাপ্ত সুবিধা না থাকায় বাণিজ্য সম্প্রসারণ হচ্ছে না। ফলে কয়েক বছর ধরে রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা ছিল অনিশ্চিত। আমদানির চাহিদা বাড়লেও ৫ বছর আগে প্রতিদিন যে পরিমাণ পণ্য আমদানি হতো এখনও সে পরিমাণ জায়গাতে রয়েছে বন্দর। আমদানি পণ্য প্রবেশের ক্ষেত্রে বন্দরে রা¯তার সংকীর্ণতা রয়েছে। ফলে ব্যবসায়ীরা চাহিদা মত পণ্য আমদানি করতে পাছেন না। বার বার বন্দর কর্তৃপক্ষকে অবকাঠামো উন্নয়নের বিষয়ে বলা হলেও তাদের অনিহার রয়েছে। যদি চাহিদা মতো সব ধরনের উন্নয়ন করা হয় তাহলে আমদানির পাশাপাশি রাজস্ব আয় হবে বেশি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন