মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

বিনোদন প্রতিদিন

সোশ্যাল মিডিয়ার আলোচনায় মাদকসহ আটক ৩ মডেল-অভিনেত্রী

সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ আগস্ট, ২০২১, ১:১৫ পিএম

গত দুই দিনে রাজধানীতে ৩ মডেল ও অভিনেত্রী গ্রেফতার করেছে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। এসময় তাদের কাছ থেকে ইয়াবা, দেশি-বিদেশি মদসহ বিভিন্ন নেশাজাতীয় দ্রব্যাদি উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনা-সামালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

রোববার রাত ১০টার পর রাজধানীর বারিধারা এলাকা থেকে মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসাকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। একই দিন রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে মরিয়ম আক্তার মৌ নামের এক মডেলকে আটক করেছে ডিবি। এসময় তাদের বাসায় ইয়াবা, মদসহ বিভিন্ন নেশাজাতীয় দ্রব্যাদিসহ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ। এ ছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে বেশ কিছু গুরুতর অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।

এর আগে শনিবার গৃহকর্মীকে নির্যাতনের অভিযোগ আটক হয়েছেন চিত্রনায়িকা একা। রাজধানীর উলনের বাসা থেকে তাকে আটক করেছে হাতিরঝিল থানা পুলিশ। এসময় তার বাসা থেকেও ইয়াবা এবং বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়।

মডেল ও অভিনেত্রীদের বাসায় ইয়াবা, মদসহ বিভিন্ন নেশাজাতীয় দ্রব্যাদি পাওয়া এবং নানা অনৈতিক কাজের সাথে তাদের জড়িত থাকা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে সাংবাদিক ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ লিখেন, ‘পরীমণি, হেলেনা, একা, পিয়াসা, মৌ— লুটেরা ধনিক শ্রেণির বিনোদিনী, প্রমোদিনী, উর্বশী, অপ্সরা, মেনকা; দেবপুরে গৃহদাহের ধোঁয়া উদগীরণ নয়তো?’

গ্রেফতার অভিযানকে ভালো উদ্যোগ বলে উল্লেখ করে রিনা তুলি লিখেন, ‘মডেল ও মদ একই সূত্রে গাথা, দুটোকে আলাদা রাখতে চাইলে অভিযান আরও আগেই প্রয়োজন ছিলো, দেরিতেও এটি ভালো উদ্যোগ।’

তানজিনা জেবিন লিখেন, ‘মডেল আর রাজনীতিবিদ আপুদের অধিকাংশের একটু বেশি সমস্যা। তাদের আচার- আচরণ, চলাফেরা, লাইফ স্টাইল ইত্যাদি। এরা অতিরিক্ত লোভী। শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন অনৈতিক কাজের সাথে জড়িত হয়। যা সমাজ,দেশ ও রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। এদেরকে এই ভাবে তৈরি করার পিছনের মানুষগুলো নিশ্চয়ই এর থেকেও ভয়াবহ খারাপ।’

মাসুদুর রহমান পলাশ মনে করেন, ‘এভাবে সন্দেহভাজন প্রতিটি নায়িকা, মডেলিং,সেলিব্রিটিদের বাসায় তল্লাশি করলে আরও অনেক অবৈধ জিনিস পাওয়া যাবে।’

অভিযান প্রসঙ্গে এনাম মোর্শেদ লিখেন, ‘এই অভিযান কি নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তির জন্য নাকি এদের মত হাজার হাজর অপরাধকারীদের জন্য? এটা এখন দেখার বিষয়।’

উদ্বেগ প্রকাশ করে একে আজাদ লিখেন, ‘এরা দেশটা কে ধ্বংস করে দিলো। মডেলের, অভিনয়ের আড়ালে মাদক ব্যবসা, বড় বড় ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক ব্যাক্তি, কোটিপতিদের টার্গেট করে এরা ব্যবসা করে।’

প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে মুহাম্মদ আরফিন সাজ্জাদ লিখেন, ‘ধন্যবাদ প্রসাসনকে। অভিযান চলতে থাকুক ..... এই মডেলদের আসল চেহারা বের করা হোক।’

প্রসেনজিৎ তালুকদারের দাবি, ‘যত দোষ সব রাজনীতিবিদ,ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী এদের সম্পদের হিসাব ইনকামের মাধ্যম এইসব নিয়ে দুদক উঠে পড়ে লাগে। কিন্তু এইসব মডেল অভিনেতা অভিনেত্রীরা কয়েকটা নাটক বা টিভিসি করে কতো ইনকাম করে যে, তারা নিত্যনতুন গাড়ি, ডুপ্লেক্স ফ্লাটের মালিক বনে যায়? এদের সম্পদের হিসাব এবং মাধ্যম খতিয়ে দেখা হোক।’

সাদ্দাম হোসেনের প্রশ্ন, ‘আমার প্রশ্ন হলো যাদেরকে চেক করা হয় বা তল্লাশি করা হয়, ম্যাক্সিমাম লোকের বাসায় মাদকদ্রব্য পাওয়া যায়; তাহলে কি পুরা ঢাকা সিটি মাদকের স্বর্গরাজ্য নাকি?’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Md Nasir Uddin ২ আগস্ট, ২০২১, ১:৫৫ পিএম says : 0
RAB DB should search every models, Heroes, Heroines residence. Their lifestyle is not supported by Bangladeshi society, culture & religion. Serious punishment need for these accused culprits .
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন