উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা দিনাজপুরে করোনায় আক্রান্ত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘন্টায় করোনা ও উপসর্গে ৫ জনসহ এ পর্যন্ত মৃত্যুবরন করেছে ২৪১ জন। এদিকে পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলার নমুনা পরীক্ষার জন্য একমাত্র দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে নমুনা জট বেড়েই চলেছে। এন্টিজেন পরীক্ষা করেও সামাল দেয়া যাচেছ না। ফলে অতিরিক্ত নমুনা পাঠানো হচেছ ঢাকার ন্যাশনাল ইনষ্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন এন্ড রেফারেল সেন্টারে। ঢাকায় পাঠানো নমুনার রেজাল্ট আসতে দেরী হওয়ায় নমুনা প্রদানকারী মানুষের মধ্যে চরম দুশ্চিন্তা ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। অনেকেই দুই থেকে তিন বার নমুনা প্রদান করছে।
দিনাজপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ আবদুল কুদ্দুস জানান, দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে এক দিনে ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা সম্ভব। কিন্তু গত জুলাই মাস থেকে প্রতিদিন গড়ে ৬ থেকে ৮’জনের নমুনা পাওয়া যাচ্ছে। সংক্রমনের ভয়ে সাধারন মানুষ নমুনা দিতে আগ্রহী হয়ে উঠায় এই জটের সৃষ্টি হচ্ছে। তারপরেও র্যাপিট এন্টিজেন টেষ্টের মাধ্যমে পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেয়া হচ্ছে। তিনি জানান, গত ২৪ ঘন্টায় (রবিবার পর্যন্ত) মোট নমুনা সংগৃহীত হয় ৬০৯ জনের। এর মধ্যে ল্যাব ও র্যাপিট এন্টিজেনে পরীক্ষা করা সম্ভব হয়েছে ৩০৯ টি। এর মধ্যে পজিটিভ এসেছে ৯৭ টির। শনাক্তের হার ২৬.১৪। বাকি নমুনাগুলি ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। যার রেজাল্ট আসতে ৩ থেকে ৪ দিন লেগে যাবে। দিনাজপুরে এ যাবতকালে মোট নমুনা সংগৃহিত হয়েছে ৬৬৬৯৩ জনের। এর মধ্যে পরীক্ষা করা সম্ভব হয়েছে ৬৪৫৪৮টির। শনাক্ত হয়েছে ১২৮১০ জনের। রবিবার পর্যন্ত দিনাজপুরে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা হচ্ছে ১০৮৩ জন। উল্লেখ্য সংক্রমন মৃত্যু প্রতিটি জেলায় আলাদা আলাদাভাবে দেখানো হয়ে থাকে।
এদিকে দিনাজপুরে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল দিনাজপুরে আইসিইউ বেড ১৬ থেকে ২৬ এ উন্নীত করা হয়েছে। সাধারন করোনা বেড ১৩০ থেকে ২০০ এবং ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ৭৫ টি রাখা হয়েছে। আরো রয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসমুহে ১৪০টি বেড। সেক্ষেত্রে দিনাজপুরে এম আবদুর রহিম মেডিক্যালে করোনা পজিটিভ ৭৩জনসহ মোট রোগীর সংখ্যা ১০৬ জন। যাদের প্রয়োজন আইসিইউ বেড। উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছে ১০১ জন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন